নিজস্ব প্রতিবেদন: নজিরবিহীন লকডাউন দেশজুড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই দিকে দিকে একটাই প্রশ্ন, খাবার দাবার পাওয়া যাবে তো? লম্বা লাইন বাজারে। রসদ মজুতের জন্য হুড়োহুড়ি। শিকেয় সামাজিক দূরত্ব। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী  নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। সবজি ব্যবসায়ী থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ডেলিভারি, আটকানো যাবে না কোথাও। পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন শিথিল করার ইঙ্গিতও দিলেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় আর্থিক প্যাকেজও চেয়েছেন মমতা।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''জরুরি পরিষেবা ও হোম ডেলিভারির মতো পরিষেবা আটকানো যাবে না। সবজি বিক্রেতারাও বিক্রিবাটা করবেন। কৃষকরাও চাষ করবেন। তবে দূরত্ব রেখে। হোম ডেলিভারি চালু থাকবে। হোম ডেলিভারির জন্য পাস দেওয়া হবে।


লকডাউন পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিথিল করার আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,''কিছু ছাড় দেব। সেটা ৩১ তারিখ পর্যালোচনা করে স্থির করব। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন। এর মধ্যে পয়লা বৈশাখও পড়বে। পঞ্জাবেরও নতুন বছর আছে। পরে বিবেচনা করে জানাব, কী কী ছাড় দেব।''  ২১ দিনের লকডাউনে খাদ্যশস্যের অভাব হবে না বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''২১ দিন হয়ে গেল খাবার পাব না, এমনটা ভাববেন না। একমাসের রেশন একবারে দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের কেউ দেখার জন্য নেই ভাববেন না।'' 



করোনার চিকিত্সায় ১৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সে ব্যাপারে রাজ্যের কাছে স্পষ্ট ধারনা নেই বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছে সব রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- গতকাল রাজ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ১৫, আজ বেড়ে হল ৯৭