নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির মসনদ থেকে বিজেপিকে হঠাতে পারে কেবল তৃণমূলই। এই প্রচারই করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে শেষলগ্নের প্রচারে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমকে একবন্ধনীতে ফেললেন তৃণমূল নেত্রী। তিন দলের মধ্যে 'বোঝাপড়া'র অভিযোগ করলেন তিনি।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদুবাবুর বাজারে মমতা (Mamata Banerjee) এ দিন বলেন,''সিপিএমের সঙ্গে বোঝাপড়া ছিল কংগ্রেসের। তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখনও আছে। বিজেপির সঙ্গেও ওদের বোঝাপড়া।'' ভাষণের একেবারে শেষে তিন দলকেই এক সূত্রে গেঁথে নিশানা করেন মমতা। তাঁর কথায়,''বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস হল জগাই, গদাই ও মাধাই। এই তিনটে দল অনেক কাণ্ড করার চেষ্টা করবে। কালতেই তো প্রচারের শেষ দিন। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।''


তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, বিজেপির সামনে মাথানত করেনি একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই। তিনি বলেন,''দেশে কমবেশি ১৭০০ রাজনৈতিক দল রয়েছে। ৫-৬টা পার্টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পেয়েছে। একমাত্র রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিজেপির কাছে মাথানত করেনি, আত্মসম্মান বিসর্জন দেয়নি।''


ঘটনা হল, দিল্লিতে গিয়ে বিরোধী জোটের তদ্বির করেছিলেন মমতা। তখন সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সনিয়ার ডাকা ১৯ বিরোধী দলের বৈঠকেও ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২৪ সালে মমতাকে পাশে পেতে ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এআইসিসি। এমনকি বাম প্রার্থীর হয়ে প্রচারও করেনি তারা। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ বলছে, মমতা ও অভিষেকের ধারাবাহিক আক্রমণ তৃণমূলের কৌশলেরই অঙ্গ। বাংলা ছাড়া বাকি রাজ্যগুলিতে সংগঠন বিস্তার করতেই তৃণমূলকে বিজেপি বিরোধী প্রধান দল হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। পাল্টা জবাব দেওয়ার পথে হাঁটছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ইডি অভিষেককে ডাকার পর থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। মোদীর কাছ থেকে বিরোধী ঐক্য ভাঙতে সুপারি নিয়েছেন। গট-আপ গেম চলছে।''


আরও পড়ুন- 'কিসের আদালত অবমাননা, আমিই বাপ,' Biplab-মন্তব্যে Mamata বললেন, বিধ্বংসী মানসিকতা


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)