নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়সের ভারেই বেহাল দশা টালা ব্রিজের। রক্ষণাবেক্ষণ না করলে যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে সেতু। তাই তড়িঘড়ি তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে কি পুজোর মুখেই বন্ধ হতে চলছে টালা ব্রিজ? ইতিমধ্যেই একাধিক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেতু ঘিরে। এবার এ বিষয়ে তৎপর হলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার দুপুর ২ টোয় নবান্নে জরুরি বৈঠক করবেন তিনি। উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই। ব্রিজ ভাঙা হবে কিনা তা নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খসে পড়েছে ব্রিজের তলার অংশের চাঙড়। সেখান থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছে ক্রমাগত। সব মিলিয়ে জরাজীর্ণ এই সেতু যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সবদিক খতিয়ে দেখেই পুজোর আগেই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যদিও ছোট গাড়ি আপাতত চলবে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। টালা সেতুর একাংশ দিয়ে পথচারীদের চলাচলও বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।


সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার এই সেতু দিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি রুটের বাস যাতায়াত করে। কাজেই পুজোর আগে অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি এই একই কারণে চিন্তার ভাঁজ পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কপালেও। সেতু বন্ধ থাকলে কীভাবে সামলানো যাবে ভিড় তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: বসছে হাইট বার, পুজোর আগেই টালা ব্রিজে বন্ধ হচ্ছে বাস-লরি


সূত্রের খবর, যানজট এড়াতে তিনটি প্রস্তাবিত রুটের কথা ভাবা হয়েছে। কিছু গাড়ি ঘোরানো হবে চিৎপুর দিয়ে,কিছু গাড়ি যাবে নাগেরবাজার দিয়ে, আরজিকরের পাশ দিয়েও ঘোরানো হতে পারে গাড়ি, অন্যদিকে টালা ব্রিজের নীচের রেললাইনের ওপর দুটি লেবেল ক্রসিং তৈরি করে ব্যারাকপুর-শ্যামবাজারের যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হবে।