থুতুতে `রঙিন` কলকাতা, পরিচ্ছন্নতা ফেরানোর পথ খুঁজতে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
উদ্বোধনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নবনির্মিত দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক `রঙিন` হয়ে ওঠে পিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : যত্রতত্র থুথু, পানের পিক, গুটখার পিক ফেলা বন্ধ করতে এবার তত্পর হল প্রশাসন। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য আলাদা করে নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একথা জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, যেখানে সেখানে পিক-থুতু ফেলা বন্ধ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে।
যত্রতত্র থুতু, পিক ফেলা যেন 'জন্মগত অধিকার'! রাস্তা থেকে স্টেশন, মেট্রো থেকে সিনেমা হল সর্বত্রই লাল পিকের 'উজ্জ্বল' উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দেখতে দেখতে গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল মানুষেরও। পিকের হাত থেকে রেহাই মেলেনি দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকেরও। উদ্বোধনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নবনির্মিত দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক 'রঙিন' হয়ে ওঠে পিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।
আরও পড়ুন, লক্ষ্য লোকসভা, মতুয়া সঙ্ঘে ভাঙন রুখতে ঐক্যের ডাক মমতার
এরপরই শহরজুড়ে ঘুরেছিলেন জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিরা। ক্যামেরায় ধরা পড়ে, পান,আর গুটখার পিকে করুণ অবস্থা মা ফ্লাইওভারের। ধর্মতলা থেকে চোখের নিমেষে এয়ারপোর্ট। শহরের গর্ব মা ফ্লাই ওভার। বিমান বন্দর থেকে এই উড়ালপুল ধরেই শহরে ঢোকেন বিদেশি অতিথিরা। সেই ফ্লাইওভারের গায়ে গায়ে পানের পিকের রকমারি আলপনা। ধর্মতলা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এক্সাইড মোড় সর্বত্র থুতু আর পিকের ছড়াছড়ি।
একই ছবি হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনেরও। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন, যাচ্ছেন। স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আর্জি সর্বত্র। বিজ্ঞাপনে শোলের হুমকি কিংবা ফাটাকেষ্টর শাসানিতেও কাজ হয়নি। বিজ্ঞাপন থেকে গেছে বিজ্ঞাপনেই। স্টেশন চত্বরে গুটখা পানের পিক ফেলার বদঅভ্যাস বদলায়নি একফোঁটাও।
আরও পড়ুন, 'শুভেন্দু অধিকারীর মাথা চাই', রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মাওবাদী পোস্টার
পিক ফেলার ছবিটা আলাদা নয় শহরের লাইফ লাইন মেট্রোতেও। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন মেট্রোয়। সেই মেট্রোও কলুষিত পান, গুটখার পিকে। ভুক্তভোগী মেট্রোর কর্মচারীরাও। সিসিটিভি, রেল পুলিসের নজরদারি ডাহা ফেল। মেট্রোর এসক্যালেটর কিংবা সিঁড়ির পাশেই পান বা গুটখার পিক পড়ে থাকার ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়।