ডি.লিট গ্রহণের মঞ্চে আবেগে গলা ধরে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আমি ক্ষুদ্র, এই সম্মানের যোগ্য নই। তাই এই ডি.লিট উপাধি ব্যবহার করব না। বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সাম্মানিক ডি.লিট গ্রহণ করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আমি ক্ষুদ্র, এই সম্মানের যোগ্য নই। তাই এই ডি.লিট উপাধি ব্যবহার করব না। বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সাম্মানিক ডি.লিট গ্রহণ করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার সাম্মানিক ডি.লিট গ্রহণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। এরপর নিজের বক্তব্যে ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণা করেন একদা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সামান্য ছাত্রী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও, তাঁদের সময় যে অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেই বড় হতে হয়েছে, সেকথা বলেন দৃশ্যতই আপ্লুত, আবেগতাড়িত মমতা। কথা বলতে বলতে গলা ধরে আসতেও দেখা যায় তাঁর।
বীণাপানি আরাধনার শ্লোক আউড়ে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাহাত্ম্য ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গর্ববোধ করছি। নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি।" এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কখনওই কোনও সম্মানের যোগ্য বলে তিনি নিজেকে মনে করেন না। এর আগেও বহু সম্মান ফিরিয়েছেন। এমনকি আজও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডি.লিট সম্মান গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাঁর মনে কাজ করছিল কুণ্ঠাবোধ। দ্বিধায় ছিলেন তিনি। পরে দল ও প্রশাসনের সহকর্মী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাসে সাম্মানিক ডি.লিট গ্রহণে রাজি হন তিনি।
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোনওদিনই নামের আগে ডক্টরেট লিখবেন না তিনি। এটা সাম্মানিক হিসেবেই রাখা থাকবে। একইসঙ্গে বলেন, এই সম্মান তাঁর দীর্ঘদিনের অবহেলা, বঞ্চনা সয়ে লড়াইয়ের স্বীকৃতি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত যা তাঁর 'হৃদয়ের মণিকোঠা'য় থাকবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এভাবেই ডি.লিট নিয়ে বিরোধীদের বিতর্ক, সমালোচনার জবাব দেন মমতা।
আরও পড়ুন, সাম্মানিক ডি.লিট পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
একজন শিশুকে মানুষ হিসেবে গোড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকের দায়িত্বের কথাও আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সমাজ গড়তে 'ভয়শূন্যে চিত্তে' এগিয়ে আসার ডাক দেন ছাত্রসমাজকেও। একইসঙ্গে ছাত্রসমাজকে মনে করিয়ে দেন, কর্মজীবনে একের পর এক শিখর আরোহণের সঙ্গেই নিজের শিকড়কে ভুলে না যাওয়ার কথাও।