নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঘের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেক গান্ধীর মন্তব্যের কড়া নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আমি কড়া নিন্দা করছি। ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। আদিবাসী ভাইবোনেরা রাজ্যের সম্পদ।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঘঘরার জঙ্গলে বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী মন্তব্য করেন, ভোটের স্বার্থের আদিবাসীদের শিকার উত্সবের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মত চোরাশিকারিদের রমরমা আর কোথাও নেই। মানেকার এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে তিনি বলেন, ''ওনার অভিযোগ খণ্ডন করছি। এদের মতো লোক মন্ত্রিসভায় থাকলে আগামিদিনে ভারতের বিপদ। তীব্র নিন্দা করছি। ক্ষমা চাওয়া উচিত ওনার। আদিবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের সম্পদ। বন্যপ্রাণ জীবন দিয়ে রক্ষা করছে বন দফতর।'' 


আদিবাসীদের কেন কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায়,''উনি কী করে জানলেন আদিবাসীরা মেরে ফেলেছে। জঙ্গলে বাঘ খুঁজেছে পুলিস। ড্রোন দিয়েও খোঁজ চলেছে। কেন্দু পাতা তুলতে পারেননি আদিবাসীরা। দুজনকে খামচে দিয়েছে বাঘ। না জেনে বাংলা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। বাংলার সংস্কৃতি জানেন না।'' 


কেন্দ্রের সরকারকে দলিতবিরোধী আখ্যা দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, ''ভোটের সময় ব্যবহার আদিবাসীদের ব্যবহার করে, তখন লজ্জা করে না। তখন শিকারি হয় না তাঁরা। সারা ভারতে দলিতদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। ওনারা তপশিলী, আদিবাসীদের পক্ষে নয়। বাংলা সুস্থ সংস্কৃতি জানে। বাংলার অসম্মান সহ্য করব না।'' 


এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, ওই সময়ে শিকার উত্সব হচ্ছিল না। তিনি বলেন, ''টেলিস্কোপ দিয়ে দেখেছেন নাকি ওখানে শিকার উত্সব হয়েছে? বাঘ মারা গিয়েছে, অনেক লোক দেখতে গিয়েছেন। কিছু উত্সাহী মানুষ থাকেন। শিকার উত্সবের সঙ্গে তুলনা করে দিচ্ছে। বাংলাকে হেয় করতে আদিবাসী উত্সবকে অপমান করছে। বাংলায় সব মানুষ এখানে একসঙ্গে বাস করেন। বাংলা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। ওনারা শুধু ভাগাভাগি করতে জানেন। মানুষ এর বিচার করবেন।'' 


আরও পড়ুন- কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের আগে ভুয়ো খবর নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক