নিজস্ব প্রতিবেদন : "যা চলছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কেন চলছে আমি জানি না। আমরা নজর রাখছি। আমি মনে করি, সবার শান্তি বজায় রাখা দরকার। আমাদের দেশ শান্তির দেশ। মানবতার দেশ। সবাইকে নিয়ে চলার দেশ। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে হিংসার কোনও স্থান নেই।" ভুবনেশ্বর উড়ে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরকালেই সোমবার থেকে জ্বলছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। CAA সমর্থক ও বিরোধী, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হিংসা ছড়িয়েছে জাফরাবাদ, ব্রহ্মপুরী, দুর্গাপুরী চক, করদমপুরী, ভজনপুরা, গোকুলপুরীতে। হিংসার জেরে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১৮০ জন। জ্বালানো হয়েছে একাধিক গাড়ি, দোকান। মৌজপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক সাংবাদিকও। দিল্লির বাতাসে এখন শুধুই পোড়া বারুদের গন্ধ। হিংসা থামাতে ইতিমধ্যেই ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও এখনও পরিস্থিতি উন্নতির কোনও লক্ষ্মণ নেই।


আরও পড়ুন, ফুটপাথের খাবারের গুণমান নিয়ে সমীক্ষা পুরসভার, খাওয়ার আগে দেখে নিন সার্টিফিকেট


একদিকে যখন এই অবস্থা, ঠিক তখনই ভুবনেশ্বরে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে পূর্বাঞ্চলের ৫টি রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভুবনেশ্বরে পূর্ব নির্ধারিত এই বৈঠকে ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও সিকিম- এই ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন শাহ। CAA নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে দিল্লি যখন জ্বলছে, তখন অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। CAA বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ মমতা। ভুবনেশ্বরে ২ নেতৃত্বের মধ্যে CAA নিয়ে তাই কী কথা হয়, সেদিকে নজর থাকবে সবার।