নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার কৃষ্ণনগরে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে বিতর্কের মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। এমন সময়েই পদযাত্রা থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার রাস্তা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত পর্যন্ত সিএএ বিরোধী পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন সুজিত বসু, মমতাবালা ঠাকুর ও অন্যান্য নেতানেত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বারাসতে পদযাত্রার মাঝেই এসে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। মিছিল থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার পথ করে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতারা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এজন্যই তো জননেত্রী। উনি জনতার মাঝে থাকেন।  



দিন কয়েক আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জেলার প্রশাসনিক ভবনের সামনে সভা করছিলেন দিলীপ ঘোষ। ঠিক তখনই সেখান দিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ ছাড়েননি দিলীপবাবু। বরং নিদান দেন, এখান দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। লোকে রাস্তায় বসে আছে। বিরক্ত হবেন ওনারা। ঘুরিয়ে অন্য দিক দিয়ে চলে যান। দিলীপের এমন হুঙ্কারের পর অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হন চালক। তখন রাজ্য সভাপতি বলেন,''সভা বানচাল করতে চক্রান্ত করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছিল তৃণমূল।'' 



সমালোচনার পরেও অবস্থান বদল করেননি দিলীপ ঘোষ। বলেছেন,''অ্যাম্বুল্যান্স খালি ছিল। ভিতরে রোগী ছিলেন না। সভা বানচাল করতে সেটা পাঠিয়েছিল তৃণমূল। আবার বলছি, ২৫ হাজার লোক ছিল সেখানে। অ্যাম্বুল্যান্স অন্য পথ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা ছিল। দরকার হলে আবার করব।'' তিনি বলেন,''আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সে গাঁজা পাচার হয়।'' পরে পুলিস জানতে পারে, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে এক প্রসূতি ছিলেন। ধুবলিয়াতে বাড়ি ওই প্রসূতির। সেদিন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। এরপরই এই ঘটনায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মঞ্জিরা বিবি নামে ওই প্রসূতির এক আত্মীয়।


আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে বহাল তবিয়তে ৪ IS জঙ্গি, একজন তো আবার সিরিয়া ফেরত: গোয়েন্দা রিপোর্ট