শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্ব-শাসিত। বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই মানা হবে না। নবান্নে উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনায় স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ, নিজেদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে উপাচার্যকে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্নে মঙ্গলবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপকদের সঙ্গে সভায় ছিলেন। ওই সভার পর উপাচার্যদের তিনি নবান্নে আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নবান্নে যান উপাচার্যরা। সেখানে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক হয় দুপক্ষের। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নানা সমস্যার কথা শোনেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,''কোনওভাবেই যেন বাইরের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ না করে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কাজে নজর দেন উপাচার্যরাই।''কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে, রাজ্য সরকার নির্বাচিত। 


রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল। এহেন প্রেক্ষাপটে এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের নাম উচ্চারণ করেননি। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।



বৈঠকে কথা প্রসঙ্গে মমতা জানান, দিল্লিতে ছিলেন থাকাকালীন হঠাৎ তাঁকে সুরঞ্জন দাসকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। বলার অপেক্ষা রাখে না, কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই অনুরোধ গিয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে বিতণ্ডাও করেছিলেন তিনি। পরে ছাত্রদের বিক্ষোভের হাত থেকে বাবুলকে ছাড়িয়ে আনেন আচার্য জগদীপ ধনখড়। সেটা ভালো চোখে দেখেনি রাজ্য সরকার। 


আরও পড়ুন- সোনার ছেলে মানে তো আর সোনা দিয়ে তৈরি নয়, ঘরের ছেলে দিলীপের মুখরক্ষায় আরএসএস