নিজস্ব প্রতিবেদন: একেকটা টুকরো টুকরো ছবি। সেগুলো দেখলেই বোঝা যায়, ভোট আসছে। ভোটের আগে বাংলায় এখন হরেকরকম ছবি। আর এমন সব অভূতপূর্ব ছবির প্রেক্ষাপট তৈরিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জুড়ি মেলা ভার। কখনও তিনি ভোট প্রচারে গিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন গৃহস্থের হেঁসেলে। কখনও আবার রাস্তার ধারে চায়ের দোকানির কাজে হাত লাগান। আবার কখনও সারাদিনের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিয়ের আসরে থাকা অচেনা মেয়েকে আশীর্বাদ করতেও গাড়ি থেকে নেমেছেন। রাজনীতির ছক ভাঙা হয়তো তাঁর পক্ষেই বারবার সম্ভব! বরাবরই আশেপাশের সবাইকে চমকে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়সের কোটা ষাটের ঘরে পৌঁছেছে। আর এই বয়সে সেই তিনিই কি না ই-স্কুটার চালানো শিখলেন! আবার অবাক করা ছবি! সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদে সকালে ই-স্কুটারে চেপে নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইলেক্ট্রিক স্কুটারের চালক রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তাতে সওয়ার খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুজনেরই গলায় ঝোলানো পোস্টার। সেই পোস্টারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তখন কে জানত, সেই মুখ্যমন্ত্রী বিকেলে ই-স্কুটার চালিয়ে নিজেই নবান্ন থেকে বাড়ি ফিরবেন! তবে ছকভাঙা পথেই বরাবর হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তাই করলেন। এর আগে তাঁকে কখনও দুচাকা চালাতে কেউ হয়তো দেখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুচাকা চালানোয় অভ্যস্তও নন। কিন্তু সেই তিনিই হয়তো মনে মনে ভেবেছেন, শিখে নিলে দোষ কোথায়!


আরও পড়ুন-  স্টেডিয়ামের নাম বদল নিয়ে Modiকে কটাক্ষ Mamataর, বললেন, 'এবার দেশের নামও বদলে দেবেন'


তাঁর সঙ্গে অবশ্য হন্যে হয়ে ছুটতে হল নিরাপত্তারক্ষীদের। তবে সে আর নতুন কী! মুখ্যমন্ত্রী তো এর আগেও পাহাড়ে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিস অধিকর্তাদের দৌড় করিয়েছেন। Fit মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাল্লা দিতে ঘেমে-নেয়ে একশা হয়েছেন পুলিসকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর ফিটনেস তো পরীক্ষিত। পাহাড়ের চড়াই থেকে গ্রামের রাস্তা, যে কোনও জায়গায় তিনি মাইলের পর মাইল রাস্তা হেঁটে পার করেছেন অবলীলায়। রাজ্য-রাজনীতিতেও তাঁর পথ চলা তো কমদিনের নয়! তবে এবার কি সেই পথ চলার সফরসঙ্গী বদলাতে চলেছে! এবার থেকে কি তবে স্কুটি চেপেই নবান্নে আসা-যাওয়া করবেন মুখ্যমন্ত্রী! বলা যায় না, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!