নিজস্ব প্রতিবেদন:  তমসো মা জ্যোতির্গময়। আমাকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে চলো। উপনিষদের এই প্রার্থনাই যেন আজ মেয়োরোডের মঞ্চের ক্রুদ্ধ, সন্তপ্ত মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গলায়, তাঁর সমস্ত বডি ল্যাঙ্গুয়জে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর প্রদেশের হাথরস-কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদী মুখ্যমন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখেই আজ বিকেলে এক পদযাত্রা ও এর শেষে এক বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিলেন। সেখানে বক্তৃতার মধ্যেই তিনি শ্রোতাদের তাঁর হাতের টর্চটি দেখালেন। দিনের বেলায় মহানগরের রাজপথে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কেন টর্চ? 


রহস্য ভাঙলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি সমবেত জনতাদের উদ্দেশ্যে বললেন-- আজ দেশে অন্ধকার। আঁধার হয়ে আছে সব জায়গা। আজ আমাদের আলো চাই। সেই আলো আনতেই আমার হাতে এই টর্চ।


কোন আঁধারের জন্য মমতার হাতে এই প্রতীকী টর্চ?


ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মমতা যা বলেন, তার মর্মার্থ মোটামুটি এই-- যে নিপীড়িত দলিতদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, তাঁদের আলোয় নিয়ে আসতে হবে। বিজেপি তো কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না। নমশুদ্র, দলিত, আদিবাসী, মুসলিম পিছিয়ে-পড়া সকলকেই দমন করতে চাইছে ওরা। হাথরস-কাণ্ডে যা হল, তা-ও তো একরকম দমনই। মৃতের মৃতদেহের কাছে যেতে পারল না তাঁর পরিবার। জোর করে পুলিশ নির্যাতিতার দেহ দাহ করল।   


তিনি আরও বলেন, যখনই কোনও কিছু হবে, ভোট আসবে, তখনই প্রতিহিংসার টনিক নিয়ে আসরে নেমে পড়বে বিজেপি। সকলের ওপর অত্যাচার করবে। অথচ প্রতিবাদ করা যাবে না। প্রতিবাদ করলেই ওরা বলবে, সংখ্য়ালঘু তোষণ হচ্ছে। সংখ্যালঘু তোষণ বলে দাগিয়ে দিলেও তিনি বরাবর অত্যাচারিতের পাশেই দাঁড়াবেন বলে জানালেন মমতা।


এই অন্ধকার পরিস্থিতিতে দেশে আলো নিয়ে আসার জন্যই তাঁর হাতে এই টর্চ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: মিছিলটা করতে বাধ্য হয়েছি, মন বলছিল ইউপিতে ছুটে যাই, মন পড়ে আছে সেই গ্রামে: মমতা