৩৭ হাজার পুজো কমিটির নাম রেজিস্টার, অনুদান ঘোষণায় মনে করালেন মমতাই
পুজো তো হবে, খরচ জোগাবে কে? কোভিড আবহে মুখ ঘোরাচ্ছেন বিজ্ঞাপনদাতারা?
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩৭,০০০ পুজো রেজিস্টার পুজো কমিটি। কলকাতাতেই আড়াই হাজার। পুজোগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান ঘোষণার সঙ্গে নিজেই স্মরণ করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে একাধিক ছাড়। করোনা আবহে কোষাগারের অবস্থা যখন সঙ্গিন, তখন এমন সিদ্ধান্ত ভোটের কথা মাথায় রেখে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
করোনা আবহে টাকা-পয়সার টান। দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে বাংলার অর্থনীতি। কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় শুধু পুজোতেই। কোভিড বিধি মেনে পুজোয় অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,''তৃতীয়া থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা যাবে।'' কিন্তু, পুজো তো হবে, খরচ জোগাবে কে? কোভিড আবহে মুখ ঘোরাচ্ছেন বিজ্ঞাপনদাতারা? কার ভরসায় হাত দেবেন কাজে? পুজো কর্তাদের মুশকিল আসান হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করলেন, রেজিস্টার পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হবে ৫০,০০০ টাকা অনুদান। গতবছর তা ছিল ২৫,০০০০। তার আগের বছর ছিল ১০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, কর থেকে বিদ্যুতের খরচেও ছাড়।
২০২১ সালের ভোটের আগে শেষ দুর্গাপুজো। ইভিএমে ফায়দা তুলতেই এসব করছেন মমতা, তোপ দেগেছে বিজেপি। রাহুল সিনহার কথায়,''নির্বাচনকে মাথায় রেখে পুজো নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা। এতে বিনাশ আটকানো যাবে না। বাংলার সর্বনাশ করছেন। ঘুষ দিয়ে এই বিনাশকে আটকানো সম্ভব নয়।''
সামনে ভোট। ২৫ হাজার থেকে পুজোর অনুদান এক লাফে বেড়ে ৫০,০০০ টাকা! এর সঙ্গে বিদ্যুৎ-কর অন্যান্য ছাড় খরচ রয়েছে। করোনা সামাল দিতে ইতিমধ্যেই আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। ভাঁড়ারে টান নিজেই বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন অনুদান বাবদ ঠিক কত খরচ হতে চলেছে? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ''৩৭ হাজার পুজো কমিটির নাম রেজিস্টার রয়েছে। তার মধ্যে আড়াই হাজার কলকাতার।'' সবমিলিয়ে অনুদানের অঙ্কটা বেশ বড় বলে মত অনেকের। তাঁরাই প্রশ্ন তুলছেন,পুজোর জন্য এত খয়রাতি কেন? আর এক পক্ষের মত, পুজোর সঙ্গে কয়েক হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি জড়িয়ে। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে খরচ তো করতেই হবে।
আরও পড়ুন- তৃতীয়া থেকেই ঠাকুর দেখা, বরাভয় মমতার; বাতলে দিলেন পুজোর নিয়ম