নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের সঙ্গিন আর্থিক অবস্থার কথা তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে মমতা দাবি বললেন, ''আমাদের গরিবের সংসার। প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে চলেছি। দেনা শোধ করতেই চলে যাচ্ছে সরকারের আয়। ৫৫ হাজার কোটির ঋণ শোধ চলতি বছরেই করতে হয়েছে।''       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, বিলম্বিত ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। সে কথা বুঝেই এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে  মমতা এদিন বলেন, ''শিক্ষকদের নিশ্চয়ই ডিমান্ড থাকবে। টাকায় কুলোলে আমরা করে দেব। ভুল বুঝবেন না। যতদিন থাকব, মানুষের জন্য করব।''         



সরকারের কোষাগারের আর্থিক সংকট নিয়েও রাজ্য সরকার উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন মমতা। বলেন, "টাকা দিয়ে শিক্ষকের ঋণ শোধ করা যায় না। গত ৮ বছরে কাজ করতে গিয়ে আমার অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবছরেও আমাদের ৫৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করতে হয়েছে। আয়ের থেকে বেশি দেনা শোধ করতেই চলে যায়। সরকারের যদি আয় না থাকে তাহলে কোথা থেকে কন্যাশ্রী, সাইকেল, ২ টাকা কিলো চাল, স্বাস্থ্যসাথী, এত সংস্কৃতি, এত প্রতিষ্ঠান, এত পরিকাঠামো করবে?"


মমতা আরও বলেন,''আমাদের দুঃখ আছে গরিবি আছে। সংসারে টান থাকলে মা দরকার হলে লক্ষ্মীর ভাঁড় ভাঙে। ২০০ কোটি টাকা বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রছাত্রীদের গবেষণায় দিয়েছি ২০ কোটি টাকা।''


একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি নিয়ে সমালোচনা শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,''কেন্দ্রীয় সরকার একটা স্কিম আনে। আর ২ বছর পর বন্ধ করে দেয়। আজ একটা লোভ দেখাবে। বলবে ৫০ শতাংশ দিচ্ছি, তুমি রাজ্য সরকার ৫০ শতাংশ দাও। তারপর বন্ধ করে দেবে।''  


আগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাইনে পেতে পেতে মাসের ২০ তারিখ গড়িয়ে যেত বলে মনে করিয়ে দেন মমতা। তাঁর দাবি, এখন ১ তারিখে মাইনে যাতে পান, তার ব্যবস্থা করেছি। ই-পেনশন চালু করেছি। আগে রিটায়ারমেন্টের পর পেনশন পেতে পেতে অনেক দিন ধরে বসে থাকতে হতো। এখন আর তা হয় না।


আরও পড়ুন- রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের উন্নতিতে ৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেবে ভারত সরকার