সুতপা সেন: দুর্গা পুজোর আগে প্রশাসনিক বৈঠকে এবার কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পাওনা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলার পাশাপাশি মমতা বলেন, আমাদের বাড়িতে রোজই ওরা অত্যাচার করছে। ছেলেটা পরশু দিন ফিরেছে। না জানিয়ে হঠাত্ করে ওর ৪-৫টি জায়গায় চলে গিয়েছে। আমাকে কেউ বলেনি। আমি আইনজীবীর কাছ থেকে এসব জানতে পেরেছি। সকাল ছটায় খবর পেলাম বাবুরা বেরিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার অ্যান্টি Ragging হেল্পলাইন চালু সরকারের, জেনে নিন টোল ফ্রি নাম্বার


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিউ আলিপুর-সহ তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের জামাইয়ের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তত্পরতা নিয়েই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধরুন আমার বাড়িতে পুলিস গেল বা আমি কারও বাড়িতে পুলিস পাঠালাম। তখন নিয়মটা কি? একটা ওয়ারেন্ট থাকবে, অথবা বাড়ির লোককে জানাবে বা কথা বলবে কেন এসেছে। রেইড করতে হলে বাড়ির অন্যান্য লোকেরাও থাকবে। অনেকে রয়েছে যারা ইংরেজি জানে না। তুমি একটা জায়গায় যাচ্ছে রেইড করতে। তাল ভেঙে ঢুকছো। জানাচ্ছ না। কোথাও কোথাও তো তালা ভেঙেও ঢুকছে। আবার সেখানে যদি কোনও চা করার লোকও থাকে তা হলে তাকেও বের করে দিচ্ছ। ঘরে ঢুকে তুমি কোনও সাক্ষী রাখছ না। ধরুন আমার বাড়িতে গেল আমাকে জানাল না। আমার তো একটি সিকিউরিটির ব্যাপার রয়েছে। সিকিউরিটির সমস্য যে কোনও লোকেরই আছে। তুমি যে একটি এক্সপ্লোসিভ রেখে যাচ্ছ না তার কে গ্যারান্টি নেবে? তুমি নিজে ঢুকছ নিজে যা করার করছ। তুমি যে লুকিয়ে একটা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না তার কে গ্যারান্টি নেবে? তুমি যে কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছো না তার কে গ্যারান্টি নেবে? জানাবার কোনও জায়গা নেই। যা ইচ্ছে তাই করব। অর্থাত্ এটা আইনি নয় রাজনৈতিক ভাবে বাংলায় একটা ভেনডেটা পূরণ করা হচ্ছে।


 
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ওরা কাল যায়নি, বাজে কথা বলে লাভ নেই। উস্কে দেওয়ার জন্য কোনও একটি কাগজ তা লিখেছে। গেলে যাবে! কালী মন্দিরে যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে কে কাকে বিয়ে করেছে, তার কোথায় জন্ম হয়েছে, তার কটা বাচ্চা হয়েছে, সে কোন স্কুলে পড়ে সে কী খাচ্ছে এনিয়ে দেশ চলতে পারে না।  স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা। বাইরে গিয়ে বড়বড় কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলছেন আমরা তো সবাইকে নিয়ে চলি। আর আর বিরাধী রাজ্যগুলোকে দেখুন, সবাইকে পিঁপড়ের মতো কামড়াচ্ছে।  এমনকি পুজো কমিটিগুলোকেও ছেড়ে কথা বলে না। জিএসটি আমাদের এখান থেকে একশো শতাংশ তুলে নিচ্ছে। সেখানে আমাদের প্রাপ্য ৬০ শতাংশ। দিচ্ছে কত? চল্লিশ শতাংশও নয়। অর্থাত্ ট্যাক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের এখান থেকে আর একটা নকুড় দানা কিনতে গেলেও ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। এরপর দেখবেন বলবে ক্লাবগুলোকেও ট্যাক্স দিতে হবে। কিছু সভ্যতা সংস্কৃতি রয়েছে যা জোর করে কেড়ে নেওয়া যায় না। এটা এরা বোঝে না। আমরা সবার অনুষ্ঠানে যাই। আমার বাবা-মা তো আমাকে কেউ শেখায়নি যে তুমি গুরুদ্বারে যাবেন না, জৈন মন্দিরে যাবে না। সংখ্যালঘু ইমাম অ্য়াসোসিয়েশনের ইমাম এসে বলে গেলেন, পুজোয় আমরা জল দিই, সাহায্য করি। কত পুজোয় মুসলিমরা প্রেসিডেন্ট আছে তার কোনও ঠিক আছে? ববি তো নিজেই একট পুজো করে। জাভেদ নিজে পুজো করে। এরকম পুজো কমিটির সভাপতি রয়েছেন। রটানো হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বাংলায় পুজো করতে দেন না। এখন কী হচ্ছে?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)