নিজস্ব প্রতিবেদন: কলেজে ছাত্র ভর্তিতে 'তোলাবাজি' রুখতে মঞ্চ থেকে বার্তা দেওয়া বা বৈঠকে কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর সোমবার একেবারে মাঠে নেমে পড়লেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ কালীঘাট থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে হঠাত্ 'আশুতোষ কলেজে' হানা দেন যোগোমায়াদেবী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষকে তিনি সাফ জানিয়েদেন, "(ভর্তিতে) কেউ যেন বাধা না পায়"। মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্বেও 'টাকার জন্য' কারও ভর্তি যেন না আটকায়, সেকথাও আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই কলেজে ছাত্রভর্তির সময় তোলাবাজির অভিযোগ উঠছিল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে। সোমবারই কলকাতার জয়পুরিয়া কলেজের প্রাক্তন জিএস তিতান সাহাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে এমন অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এরপরই খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিসকে নির্দেশ দেন পদক্ষেপ করার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এমন ঘটনা কড়া হাতে দমন করার বার্তা দিয়েছেন। আজ সকালে এই নিয়ে মমতার বাসভবনে এক দফা বৈঠকও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর। এদিন বিকালে আবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতাদের সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক হবে। ফলে, সামগ্রিকভাবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং প্রশাসনের মাথা হিসাবে মমতা যে 'আপোশহীন' মনোভাব নিয়েছেন তা স্পষ্ট। আরও পড়ুন- কলেজে তোলাবাজিকাণ্ডে গ্রেফতার জয়পুরিয়ার প্রাক্তন জিএস তিতান


কিন্তু, হঠাত্ আশুতোষে কেন?


এদিন আশুতোষ কলেজে গিয়ে মমতা আসলে নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, কোনও অভিযোগ পেয়ে যে তিনি এখানে আসেননি তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। কিন্তু, তাহলে এসেছিলেন কেন? প্রশ্ন করতেই মমতার জবাব, "আমার কলেজ, আমি দেখতে এসেছি"। তবে সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ফেরাতে মমতার এই হঠাত্ হানা কাজে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন- জয়পুরিয়া কলেজে তোলাবাজি রুখতে এবার কড়া দাওয়াই!