সবার ভাবাবেগ রয়েছে; বড়দিনে জাতীয় ছুটি থাকবে না কেন, কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
মমতা বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। বলতে খুব খারাপ লাগছে, কিছু লোক দিল্লি থেকে আসছেন আর এক পর এক মিথ্যে বলছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়দিনে জাতীয় ছুটির দাবিতে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতার অ্যালেন পার্কে বড়দিনের উত্সবের সূচনা করে ওই দাবিতে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, বলুন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিকে কেন জাতীয় ছুটি থাকবে না। গত বছরও একই কথা বলেছিলাম। প্রত্যেকের একটা ভাবাবেগ রয়েছে। আমাদের রাজ্যে ওই দিন ছুটি থাকে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এল আর ওই দিনের ছুটি বাতিল করে দিল। কেন? আমরা ওই দিনে রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করেছি। প্রকৃত অর্থে কি আমাদের দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা রয়েছে! না। এক জটিল ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন-ISL 2020-21, ATKMB vs BFC,Live Update: ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান
বিজেপির কথা উল্লেখ না করে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, এরা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে না। এরা আইন ভাঙে। এরা শুধু দেশ ভাঙতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি জায়গা যেখানে সব উত্সব সমান গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। বড়দিনের উত্সব একটি শান্তির উত্সব।
বড়দিনের উত্সবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বলার পাশাপাশি কেন্দ্রকেও এদিন নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। ওইসব ক্ষেত্রে আগে রাজ্যের অবস্থান ছিল ৩০-৩৫ এর মধ্যে। বলতে খুব খারাপ লাগছে, কিছু লোক দিল্লি থেকে আসছেন আর এক পর এক মিথ্যে বলছেন। মানুষকে সত্যিটা কেন বলছেন না! গর্ব করতে বলতে পারি MSME-তে আমরা দেশে এক নম্বরে। স্কিলড সেক্টরে আমরা এক নম্বরে আছি। সড়ক যোজনা, বাংলার আবাস যোজনায় আমরা এক নম্বরে আছি।।
আরও পড়ুন-আগামী বছর জুড়ে পালিত হবে নেতাজিজয়ন্তী, উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল ভারত সরকার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, এই সরকার যখন রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তখন ইনস্টিটিউশন ডেলিভারি রেট ছিল ৬৫ শতাংশ। আর গত ৮ বছরে তার বেড়ে হয়েছে ৯৯ শতাংশ। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। বাংলা স্বাস্থ্য, খাদ্য সাবার জন্য ফ্রি। শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাশ্রী থেকে ঐক্যশ্রী-সহ একাধির প্রকল্প চালু করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্র সংঘের খেতাব পেয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ১২ লাখ পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়ার পরিকল্পানাও করেছে রাজ্য সরকার। মৃতদেহ সত্কারের জন্য কারাও টাকা না থাকলে তাকেও সাহায্য করছে সরকার।