নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের প্রচারে পরস্পরকে লক্ষ্য করে শানিয়েছিলেন বাক্যবাণ। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেননি। ভোটের পর প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এড়িয়ে গিয়েছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠক। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাত্ বুধবার বৈঠক প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে?    


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বক্তব্য, মোদী সরকারের নীতির জেরে রাজ্যের ওপর ১৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত আর্থিক চাপ বেড়েছে। কারণ ইউপিএ সরকারের সময় সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্রের অনুদানের পরিমাণ ছিল ৯০%। রাজ্যের ১০%। মোদীর আমলে তা কমে হয়েছে ৬০%-৮০%। ১৮টি প্রকল্পে অনুদান কমিয়ে দেওয়ার ফলে রাজ্যের ঘাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা চেপেছে। এছাড়া ১০০ দিনের কাজে বকেয়া ৪০০ কোটি। মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার জন্য ১০০০ কোটি টাকার অনুদানও বন্ধ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার  মতো আরও ১০ হাজার কোটি টাকার চাপ আসতে চলেছে আগামী বছরে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ চালুর ঘোষণা করেছেন। 



এর আগে ৪ বার কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছে রাজ্য সরকার। এবারও একই আর্জি জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে রাজ্যের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কেন্দ্রকে পদক্ষেপের অনুরোধও জানাবেন।


বিরোধীরা অবশ্য বৈঠকের নেপথ্যে সিবিআইয়ের সক্রিয়তা দেখছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে আসবে বলেছিলেন। এখন নিজের কোমরে দড়ি পরার সময় এসেছে। তাই সঙ্কটকালে মোদীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রাজীব কুমারের যা হওয়ার হয়েছে। এবার পিসি ভাইপো যাতে বেঁচে যায়, তা কী তিনি যাচ্ছেন?


মমতা বলেছেন, ''দিল্লি যাচ্ছি কারণ রাজ্যের কিছু টাকা পাওনা আছে। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে গেইল-এর কিছু প্রবলেম আছে। সুযোগ পেলে সেসব নিয়ে কথা বলব। রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও কথা হবে। ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করার বিষয়েও আলোচনা করব।''    


আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে মমতার সঙ্গে আইনমন্ত্রী-আইনজীবী সাংসদ কী করবেন? প্রশ্ন বিরোধীদের