মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে মমতার সঙ্গে আইনমন্ত্রী-আইনজীবী সাংসদ কী করবেন? প্রশ্ন বিরোধীদের
লোকসভা ভোটের পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লিতে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গেলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠকে আইনজীবী ও আইনমন্ত্রী কী করছেন?
লোকসভা ভোটের পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাননি। এড়িয়ে গিয়েছেন নীতি আয়োগের বৈঠকও। সিবিআই যখন রাজীব কুমারকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন মমতার দিল্লি সফরে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সেটিং কীভাবে করতে হয়, তা খুব ভালো ভাবেই জানেন ওঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে আসবে বলেছিলেন। এখন নিজের কোমরে দড়ি পরার সময় এসেছে। তাই সঙ্কটকালে মোদীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রাজীব কুমারের যা হওয়ার হয়েছে। এবার পিসি ভাইপো যাতে বেঁচে যায়, তা কী তিনি যাচ্ছেন?”
মমতার সঙ্গে এদিন দিল্লিতে গিয়েছেন সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক। তাহলে আইনমন্ত্রী কেন যাচ্ছেন? অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কী করছেন? প্রশ্ন বিরোধীদের।
বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ নস্যাত্ করে মমতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলে গিয়েছেন, ''আমি তো গোটা বছর কলকাতাতেই থাকি। দিল্লি খুব কম যাই। দিল্লিতে সংসদ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই রয়েছেন তাই কখনও কখনও রাজ্যের কাজে যেতে হয়। এটা রুটিন কাজ।'' তিনি আরও বলেছিলেন,''দিল্লি যাচ্ছি কারণ রাজ্যের কিছু টাকা পাওনা আছে। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে গেইল-এর কিছু প্রবলেম আছে। সুযোগ পেলে সেসব নিয়ে কথা বলব। রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও কথা হবে। ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করার বিষয়েও আলোচনা করব।''
আরও পড়ুন- ছবি:মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে তুলির টানে দেবীর চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী