ব্রিগেডে বিজেপির `মৃত্যু ঘণ্টা` বাজানোর প্রস্তুতি তৃণমূলের
ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে কোনও খামতি রাখছে না রাজ্যের শাসক দল।
কমলিকা সেনগুপ্ত
লোকসভা ভোট শিয়রে। তার আগে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডকে মেগা ইভেন্টে পরিণত করতে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেডে শক্তি প্রদর্শন করতে চেষ্টার খামতি নেই শাসক দলের। ব্রিগেডে তৈরি হচ্ছে পাঁচটি মঞ্চ। আসবেন জাতীয় নেতারা।
মূল মঞ্চ ১২ ফুটের। সেটি আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত। এখানেই বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাতীয় স্তরের নেতারা। থাকবেন রাজ্যের বিশিষ্ট নেতারাও। ডান দিকে থাকছে দুটি মঞ্চ। এই দুটি মঞ্চে থাকবেন জেলা সভাপতি, মন্ত্রী ও সাংসদরা। আর বামদিকে দুটি মঞ্চ বরাদ্দ থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য।
এবারের ব্রিগেডে গোটা রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ আসতে পারেন। আর সেদিকে তাকিয়েই যাতে সবাই শুনতে পান, সেজন্য বসানো হচ্ছে হাজারটি মাইক। ৭০০টি আয়রনের রড দিয়ে তৈরি হচ্ছে কাঠামো। থাকছে ওয়াচটাওয়ার। থাকবে এলইডি টিভি। ভিড় সামলানোর জন্য থাকবেন প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের মতো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে দূরের কর্মী-সমর্থকদের জন্য।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ''৯২ সালে সিপিএমের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ব্রিগেডে বিজেপিকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য মমতার ডাকে আসছেন দেশের অন্যান্য নেতারা''।
এদিনই অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব্রিগেডে আসছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মায়াবতী ছাড়া সকলেই আসবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। কংগ্রেসের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। তবে ব্রিগেডে সনিয়াকে না আসার জন্য আগেই দিল্লিতে দরবার করে এসেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।
আরও পড়ুন- সিল করা বোতলের সঙ্গে কুমারী মেয়েদের তুলনার পরও অনড় কনক সরকার
মঙ্গলবার নবান্নে প্রোটোকল বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পুলিস আধিকারিকরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পাঁচ সাংসদও উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে।