`হাঁসখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত নিম্নমানের, এই জন্যই নন্দীগ্রামে হেরেছেন`:দিলীপ
দিলীপ ঘোষ। বলেন, হাঁসখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার থেকে নিম্নমানের বক্তব্য আর হতে পারে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসখালিতে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। আজ ওই নাবালিকার বাড়িতে যান শুভেন্দু আধিকারী ও অধীর চৌধুরী। সেখানে গিয়ে তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। পাশাপাশি এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও ঘটনার তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলেন দিলীপ ঘোষ। কীভাবে? গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাঁসখালির নাবালিকার প্রমের সম্পর্ক ছিল, সে প্রেগন্য়ান্ট ছিল কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। এর পাশাপাশি আজ কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু বলেননি যে হাঁসখালির তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এনিয়েই সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন, যখন তদন্ত হবে তখন সবকিছু বেরিয়ে আসবে। সব ব্যাপারেই মুখ্যমন্ত্রী আগেভাগে জাজমেন্ট দিয়ে দেন। কী হয়েছে, কী হতে পারে। উনি পার্ক স্ট্রিটকাণ্ড নিয়ে কী বলেছিলেন? সব রেকর্ডে রয়েছে। খুন হোক, ধর্ষণ হোক উনি আগে মন্তব্য করে তদন্তকে প্রভাবিত করতে চান। তারপর সিট গঠন হয়। পুলিসের হিম্মত নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। এখানেও তাই হয়েছে। কুণাল ঘোষ যা বলছেন তাতে বোঝা যায় তৃণমূলের মধ্য়ে এখন গৃহযুদ্ধ বেধে গিয়েছে। ওটা আগে সামাল দিন। দিদিমনির হয়ে ব্যাটিং করার অনেক লোক রয়েছে।
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। বলেন, হাঁসখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার থেকে ওঁছা ও নিম্নমানের বক্তব্য আর হতে পারে না। এই জন্যই নন্দীগ্রামের মানুষ ওঁকে হারিয়েছিল। কারণ উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয়। একটি নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার চরিত্র সম্পর্কে উনি যে মন্তব্য করেছেন একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা আশা করা যায়? রাজ্যে এত খুন হয়েছে, একবারও উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন? তাঁর কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েটি প্রেগন্যান্ট ছিল, তার প্রেম ছিল। মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। উনি ডাক্তারও বটে, ইঞ্জিনয়ারও বটে, নাচতে পারেন, গাইতে পারেন, কবিতা,গান, আবৃত্তি-সব পারেন।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার বিজেপির তরফে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। দলের তরফে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, টুইটে কাজ হবে না। হয় আপনি কিছু করুন নয়তো নীরব থাকুন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, গত মাসখানেক ধরে কী ধরনের ঘটনা ঘটছে আপনারা তো দেখছেন। জল মাথার উপরে চলে এসেছে। আগে রাজ্যপালকে তৃণমূল টার্গেট করত। কারণ তিনি তৃণমূলের অপকর্মের প্রতিবাদ করতেন। এখন রাজ্যপাল তাঁর এক্তিয়ারের মধ্য়ে থেকেই কাজ করছেন। ওঁর এখন শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। রাজ্যপালের কাছে মানুষের একটা প্রত্যাশা রয়েছে। ফলে মানুষের একটা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে, আসানসোলর ভোট নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, অগ্নিমিত্রা পাল আমাদের প্রার্থী। জামুরিয়া ও বারাবনিতে তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। জিতেন্দ্র তিওয়ারি নির্বাচন কমিশনের পাস নিয়ে বুথ যাচ্ছেন তাঁকে পুলিস আটকে দিয়েছে। পুলিসকে ঘিরে রেখেছে মানুষজন। তারা সিকিউরিটিদের মারছে, গাড়িতে ঢিল ছুড়ছে। বলছে আমরা টিএমসির লোক। তাকে কিন্তু পুলিস, কিছু বলছে না। তাদের তাড়াও করছে না পুলিস। আপনি কীভাবে আশা করতে পারেন সাধারণ মানুষ এই অবস্থায় কীভাবে আশা করেন সুস্থভাবে ভোট হবে কিংবা সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোট দেবে। ভোট আসে, ভোট য়ায়। বাংলার চরিত্র বদললায় না।