নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "যতদিন করোনা বিদায় না নেবে, ততদিন রাজনীতি করব না।" কিন্তু সময় গড়াতেই জল গড়াল অন্যদিকে। করোনা ইস্যুতে বিরোধীদের মুখবন্ধ করতে এবার আর শুধু সরকারের তরফে সাংবাদিক বৈঠক নয়, দলীয় তরফেও ময়দানে নামল তৃণমূল। রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে একেবারে রাজনৈতিকভাবে সরাসরি নেমে পড়ল তৃণমূল। সোমবার ডেরেক ও ব্রায়েন, দীনেশ ত্রিবেদী রাজনৈতিকভাবে জবাব দেওয়া শুরু করেছিলেন। আজ রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ ভিডিয়ো কনফারেন্সে সাংবাদিক বৈঠক করলেন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শান্তনু সেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে নিশানা করলেন রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,
"দেশে যখন এই পরিস্থিতি তখন করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন রাজ্যপাল ও কেন্দ্র। গুজরাট নিয়ে কেন কোনও কথা বলছেন না রাজ্যপাল? ত্রুটিপূর্ণ কিট নিয়ে কেন সরব হলেন না রাজ্যপাল? নিজেদের অপদার্থটা ঢাকার জন্যই রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে। করোনা নিয়ে সতর্ক হয়নি কেন্দ্র। বরং মধ্যপ্রদেশ দখলে ব্যস্ত ছিলেন মোদী। ট্রাম্প নিয়ে হই হই করছিলেন। WHO-র কথায় কান দেননি। বাংলা তালিকায় ১৬তম আসনে রয়েছে। মমতাকে কালিমালিপ্ত করতেই এসব করা হচ্ছে।


মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,
"তথ্য লুকানোর প্রশ্নই নেই। চ্যালেঞ্জ করছি, আইসিএমআর দেখাক আমাদের ত্রুটি। বাংলাকে অপমান করতেই এসব বলা হচ্ছে। এমন ভাবে বলা হচ্ছে, আমরা যেন করোনা রেট বাড়িয়ে দিচ্ছি । অথচ মমতাই প্রথম রাস্তায় ছিলেন। ফ্লাইট বন্ধ করা হয়নি। ফলটি (Faulty) কিট দেওয়া হয়েছে। বাংলার আগে কর্নাটকে হয়েছে। গুজরাটে হয়েছে। গুজরাটকে কেন আড়াল করা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি কেন? থালা বাজিয়ে ভেবেছিলেন করোনা চলে যাবে?"


মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 
"হরিয়ানায় যখন প্রথম কেস হল, আপনারা ঘোড়া কেনাবেচায় ব্যস্ত ছিলেন। আজকে রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ভুলে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকুন। ফ্লাইট বন্ধ করা হলো না কেন? এ দায় নিতে হবে। মমতা আর্থিক প্যাকেজ চাইলে দেন না, কিন্তু দিল্লি সাজাতে ২০ কোটি, ট্রাম্পের সম্বর্ধনায় ৮ কোটি ব্যয় করেন! যারা আসছে, তারা সংক্রামিত নয়, তা কি নিশ্চিত আছে? কারও জ্বর হচ্ছে। এ দায় কে নেবে? আপনারা বাংলাকে আক্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।"


সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 
"একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে দোকান খুলতে বলছেন। একদিকে বলছেন টেস্ট কর, অন্যদিকে ভুল কিট। কে দায় নেবে? ৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনা টেস্ট হল। এরপরেও ফ্লাইট বন্ধ হল না। বহু লোক রোগ নিয়ে এল। ওদের কি কোয়ারেন্টিন হয়েছে? আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে আনলেন, তাদের সাথে লোক এল। ঘুরে বেড়াল। কেন্দ্রের জন্যই করোনা ছড়িয়েছে। এমন ভাব করছে ওরা, যেন বাংলার জন্যই ছড়াচ্ছে। সমন্বয় তো দূর, ওরা আমাদের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে এসেছিল। অপূর্ব চন্দ্র বাংলাকে খোঁচা না দিলে ওনার প্রোমোশন হতো না। রেড জোন, গ্রিন জোনের ক্রাইটেরিয়া বদলাচ্ছে রোজ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার কিট চাইলে, নামমাত্র দেওয়া হল। তাও ত্রুটিপূর্ণ কিট। এরপরেও বাংলায় টেস্টিং রেট কত বেশি! ভারতের থেকে বাংলায় টেস্ট বেশি। করোনা মোকাবিলায় মমতা রোল মডেল।"


আরও পড়ুন, রাজ্যে প্রথম! কলকাতার আস্ত একটা পুলিস অফিস-ই এবার 'কনটেইনমেন্ট জোন'