সুতপা সেন: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। 'পঞ্চায়েতে চোর ধর, এফআইআর কর',  জেলা প্রশাসনকে এবার কড়া চিঠি দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সঙ্গে দুর্নীতি বা তছরুপ হলে, টাকা উদ্ধারের নির্দেশও। 'কে কাকে ধরবে? কে কার চুরির পর্দাফাঁস করবে'? প্রশ্ন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে দুর্নীতি ইস্য়ুতে এখন ব্য়াকফুটে তৃণমূল। এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে বিপুল পরিমাণ। গোরুপাচারকাণ্ড সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলও। গ্রেফতারি পর পার্থকে যখন মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তখন অনুব্রতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি তৃণমূল। বরং বেহালায় এক অনুষ্ঠানে কেষ্ট-র পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তাঁর প্রশ্ন, 'কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করলেন? কী করেছিল কেষ্ট'?


আরও পড়ুন: SSC Scam: ঝেড়ে ফেলেছে দল, পার্থ বললেন দলের সঙ্গেই আছি


এদিকে কয়েক মাস বাদে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় ঘুরে গিয়েছে ১৫টি কেন্দ্রীয় দল। কেন? সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। রিপোর্টে বাংলা আবাস যোজনা গরমিল ও আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরকে যখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্নন মন্ত্রক, তখন পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। 


কী প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'কে কাকে ধরবে? কে কার চুরির পর্দাফাঁস করবে? কে কার বিরুদ্ধে এফআইআর করবে? মুখ্য়মন্ত্রী তো এর আগেও বসেছিলেন, কাটমানি ফেরত দাও। মানুষ দেখেছিলেন, কাটমানি ফেরত দেওয়ার লাইন পড়ে গিয়েছিল। এখন লোকজন রাত্রিবেলা চলে যাচ্ছে, পঞ্চায়েতে কাগজপত্র পালটাচ্ছে, আগুন ধরাচ্ছে'। তাঁর দাবি, 'নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক রূপচর্চা। আপনি ফেসসিয়াল করে, বা স্কিন ট্রিটমেন্ট করে চেহারায় জৌলুস আনতে পারেন, কিন্তু ভিতরের জিনিসপত্র পালটানো যায় না'।


 আরও পড়ুন: Kunal Ghosh Song: 'লাটে উঠছে ঠাকুর দেখা, গাড়ির ট্যাঙ্ক ফুল্টু ফাঁকা', এবার প্রতিবাদী গান গায়ক কুণালের


সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, 'মুখ্যমন্ত্রী এখন যা বলছেন, তা কম-বেশি মূল্যহীন। ধরা পড়ে গিয়েছেন। সারা মুখে আলকাতরা। নতুন কথা কী! ১১ বছর সরকার চালানোর পর মনে হল এফআইআর করতে হবে! জানতেন না, ব্যাপক দুর্নীতি, একশোর দিনে টাকা লুঠ, পঞ্চায়েতে লুঠ। সরকারের কোনও সাধু উদ্দেশ্য় আছে বলে মনে হয় না। রেজাল্ট কথা বলবে'। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রীসভার রদবদলের পর প্রথমবার ক্য়াবিনেট বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে 'প্রতিটা ফাইল দেখে সই'-সহ একগুচ্ছ সতর্কবার্তা দেন মন্ত্রীদের।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)