অয়ন ঘোষাল: মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ছিলেন আপ নেতা আতিসি মার্লেন ও রাঘব চাড্ডাও। লোকসভা নির্বাচনের আগে কি বিজেপি বিরোধী ঐক্যে সলতে পাকাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী? নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকের পর কেজরি ও মানের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এনিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'২০২৪-র আগে বিজেপিকে হারানোর দারুণ সুযোগ এসে গেল'!


মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে মমতাকে বেঁধেন বিজেপি নেতা। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে খোঁজ নিন ওঁর পার্টিটা ঠিক আছে কিনা। সরকারের কী অবস্থা। বিধায়করা মন্ত্রীরা সব মুখ খুলছেন। এটা ওনার পুরনো অভ্যাস। একটা ঘোঁট পাকিয়ে দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। নেতা মন্ত্রীরা জেলে। নেতাদের ডাকাডাকি চলছে। চাকরি দিতে পারছে না। দুর্নীতিতে ডুবে আছে। এর থেকে নজর ঘোরাতে চারিদিকে বোমা বিস্ফোরণ করা হচ্ছে। এটা আসলে চক্রান্ত। পুলিস জানে। পার্টির লোকেরা যুক্ত। বোমার আওয়াজ করে ভয় দেখিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। মিডিয়ার মুখ ওদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোর নিয়ে গতকাল সৌগত রায় বলেছিলেন, গরমেও বাজি ফেটে যেতে পারে। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সৌগত রায় বড় বিজ্ঞানী। তার বছর বয়স ৭৫। ওঁকে জিজ্ঞাসা করুন, উনি কোনও দিন দেখেছেন, গরমে বোমা ফেটে যায়? হঠাৎ এভাবে পরপর ফাটতে আরম্ভ করল! কংগ্রেস সম্পর্কে মতামত কি? মমতা একবার বলছেন, কংগ্রেস বাদ। একবার বলছেন, কংগ্রেস চাই। লেনদেনের প্রশ্ন উঠছে। উনি ওঁর স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করুন। এগুলো সব ড্রামা। মমতার কাছে সবাই আসছে। উদ্দেশ্য তাকে যেনতেন প্রকারে জলে নামিয়ে দেওয়া। কিন্তু আগের বার জলে নেমে লাফালাফি করায় ১২ টা সিট কমে গেছে। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। নবীন পট্টনায়ক রাজি হচ্ছেন না। মোদীজির সামনে আসতে কেউ সাহস পাচ্ছেন না। 


বাঁকুড়ার খাতড়ায় কুরমি বিক্ষোভের মুখে অভিষেক। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এ সব সেটিং। যেহেতু আমাদের ঘেরাও করার পর আমরা সোচ্চার হয়েছি। ওদের টাকায় বাস নিয়ে এসে আমার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করেছি। মানুষের কাছে ব্যাপারটা এক্সপোজ হয়ে গেছে, সেই নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই লোক দেখানোর জন্য এখন অভিষেককে ঘেরাও করা হচ্ছে। 


রবিবার দেশের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে দিলীপবাবু বলেন, লোকসভায় যুগ্ম অধিবেশন বয়কট করে এরা। মোদী লোকসভার নেতা। তাই উনি উদ্বোধন করছেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে আমন্ত্রিত। এর আগে লাইব্রেরি উদ্বোধন হয়েছে। রাজীব গান্ধী গেছেন। অ্যানেক্স ভবন উদ্বোধন হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী গেছেন। তখন এই তৃণমূলের লোকেরা কংগ্রেস ছিল। তাই প্রতিবাদ করেননি। তাহলে আজ কিসের প্রতিবাদ? আসলে সমাজ থেকে এরা ব্রাত্য। কাউকে মুখ দেখাবার জো নেই। তাই সব জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যারা বয়কট করছে, তাদের পাবলিক আগামী নির্বাচনে বয়কট করবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)