নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল বিদায়ের পর তৃণমূলের প্রথম সাংগঠনিক সভা। ফলে মুকুলের না থাকা কী পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব ফেলবে- বেশ কয়েক দিন ধরে দলের অন্দরে ঘুরতে থাকা এই প্রশ্ন তাই অনিবার্যই ছিল আজকের সভায়। সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্বয়ং দলনেত্রী। তবে একবারের জন্যও উচ্চারণ করলেন না মুকুল রায়ের নাম। দলীয় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে ঘুরতে থাকা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মমতা যা বললেন তা আদতে 'ভোকাল টনিক'। তাঁর চিরপরিচিত 'ডোন্ট কেয়ার' ভঙ্গিতে সটান জানিয়ে দিলেন, দল ভাঙা সম্ভব নয়। যদি কারও দল অপছন্দ হয়, তাহলে তাঁর জন্য বাইরে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। দরকার হলে তিনিই যে নেতা তৈরি করে নেবেন তাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন প্রত্যয়ী মমতা। পাশাপাশি, দলকে সতর্ক করে দিলেন 'শকুনে'র নজরের বিষয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মমতা আজ যে ভোকাল টনিকটা দিয়েছেন, এই মুহূর্তে সেটাই দরকার ছিল দল তৃণমূলের তৃণমূল স্তর থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত। আজকের মঞ্চ থেকে আদতে পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মসূচিকে এক সূত্রে বেঁধে দিলে তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সঙ্গেই সর্বস্তরের জন্য দলনেত্রীর সটান ঘোষণা, এখন থেকে আর দলে 'আমি একা নেতা হলে হবে না'। অনেকেই বলছেন এই 'একা নেতা' আসলে কে তা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না।


এদিনের সভা থেকে পঞ্চায়েত বিজয়ের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত ছয়টি বিষয়ে দলীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি-


- ভোটার লিস্ট ভাল করে দেখে নেবেন।
-বন্যায় যাদের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে তাঁদের দেখবেন।
-৫ বছর এলাকায় কী কাজ করেছেন নোট করুন।
-৮ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতি বুথে মিটিং-মিছিলের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
-প্রতিটি বুথে সপ্তাহে দুটো মিছিল করার কড়া নির্দেশ।
-কেউ 'শকুনে'র মত তাকিয়ে আছে সেগুলো দেখবেন। পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার সময় ঠিক ব্যক্তি যেন টিকিট পায় দেখবেন। সামঞ্জস্য রাখবেন, না হলে 'শকুনে'র নজর পড়বে।


আরও পড়ুন- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি'লিট সম্মান পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়