জেলা সফরে দার্জিলিংয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছিল এনসেফ্যালাইটিস। আসতে শুরু করে প্রাণহানির খবর। হাজার হাজার মানুষের সেই হাহাকার যে তখন তাঁর কানে পৌছয়নি, পরে নিজেই তা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি প্রয়োজন এত আয়োজন করে জেলা সফরের? কি প্রয়োজন প্রশাসনিক বৈঠকের?  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছরে একাধিকবার জেলা সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে থাকে একাধিক মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ আমলারা। বৈঠকের উদ্দেশ্য কী? জেলার উন্নয়ন ও সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি খোঁজখবর নেওয়া। তিন বছরে বিভিন্ন জেলায় তেষট্টিবার জেলা বৈঠকও করা হয়ে গেছে তাঁর। দিনকতক আগেই প্রশাসনিক বৈঠক করতে দার্জিলিং গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী-আমলাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যখন বৈঠকে ব্যস্ত সে সময়েই উত্তরবঙ্গ জুড়ে থাবা বসাচ্ছিল এনসেফ্যালাইটিস। মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন। উত্তরবঙ্গ জুড়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কঙ্কালসার চেহারাটাও আস্তে আস্তে সামনে আসতে শুরু করেছিল তখন থেকেই। এরপর দার্জিলিংয়ের বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেটে গেল একুশ জুলাই। তারপর আরও চারটি দিন। অবশেষে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন তিনি কিছু জানতেনই না।


খ্যমন্ত্রীকে না জানানোর অপরাধে সরিয়ে দেওয়া হল দুই জেলার তিন স্বাস্থ্য আধিকারিককে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে


উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকের সময়েই কেন এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে কেউ রিপোর্ট করলেন না মুখ্যমন্ত্রীকে?


মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর দায়িত্ব থাকে জেলাশাসকদের ওপর। তাঁরাও কেন চুপ করে ছিলেন?


ব্লক লেভেলের অফিসাররাও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে থাকেন। বৈঠকে নাকি সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। তাহলে কেন একজন আধিকারিকও কিছু জানালেন না মুখ্যমন্ত্রীকে?


আমলা-অফিসারদের কথা বাদই দেওয়া গেল। দুই জেলায় তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। একজন মন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরাও থাকেন বৈঠকে। তাঁরাও কেন চুপ করে ছিলেন?


এতবড়  ঘটনা, সংবাদমাধ্যমের হইচই, আতঙ্ক।  এতকিছুর পরেও, কেন কিছুই জানলেন না মুখ্যমন্ত্রী?