কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নলেজ ইজ পাওয়ার। সর্বপ্রথম এ কথা বলেছিলেন ব্রিটিশ দার্শনিক স্যার ফ্রান্সিস বেকন। অ্যারিস্টটল, প্লেটোর দর্শনে বিশ্বাসী বেকন সাহেব ষোড়শ শতকেই উপলব্ধি করেছিলেন, তথ্যই ক্ষমতার উত্স। আর বিংশ শতকে এসে বেকনের সেই দর্শনের তাত্পর্য বিশেষভাবে অনুধাবন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


ফেসবুক যুগে বন্দুকের নল নয়, ক্ষমতার উত্স যে আসলে তথ্য, তা হাড়াহাড়ে টের পেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই আর দেরি নয়, এখন থেকেই 'ডিজিটাল বিপ্লবে'র পথে হাঁটতে শুরু করে দিল তৃণমূল।


নেত্রীর নির্দেশ, বিজেপির বিরুদ্ধে যেমন থাকবে ব্যারিকেড, ঠিক তেমনই থাকবে অবাধ তথ্য প্রবাহও। ২০১৯ লোকসভার আগে তৃণমূলের ফর্মুলা, একদিকে রাস্তা দখল, তো অন্যদিকে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের  বন্যা। এ ক্ষেত্রে এক ইঞ্চি জমিও বিজেপি-কে ছেড়ে দেওয়া যাবে না, নির্দেশ এমনই।


যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের রমরমা বাড়ছে এবং তা বিশ্বাস করে হিংসার  ঘটনা ঘটছে, তাতে চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একদিকে প্রশাসনে থেকে  'সুশাসন', অন্যদিকে সারা ভারতে বিজেপি-কে হারিয়ে ‘নব্যভারত’ প্রতিষ্ঠা, দুই ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতিয়ার ডিজিটাল মিডিয়া।  আগামী নির্বাচনে ফেসবুক, টুইটারকে ব্যবহার করেই ১০ শতাংশের উপর ভোট আদায় করতে চাইছে তাঁরা। আর এটা করতে হলে তৃণমূলকে চলতে হবে নেত্রীর নির্দেশেই।


আজ (সোমবার) নজরুল মঞ্চে দলের ডিজিটাল কনক্লেভ-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে যে নির্দেশে দিলেন, সেগুলে জেনে নিন-


১. ভুল তথ্য ব্যবহার করা চলবে না।


২. ভুয়ো খবর নজরে এলেই পুলিসকে জানাতে হবে।


৩. ফেসবুক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে হিন্দি ভাষায় জোর দিতে হবে।


৪. কাজের লোকদের কাজে লাগাতে হবে।


৫. যারা ভাল কাজ করবেন, তাঁদের একটি তথ্য ব্যাঙ্ক তৈরি করতে হবে।


এখানেই শেষ নয়, ব্লকে-ব্লকে, অঞ্চলে-অঞ্চলে, জেলায়-জেলায় তৃণমূলের ডিজিটাল সেলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে যাদের কাজ (এমনকী সাধারণ মানুষও) সর্বোত্কৃষ্ট হবে তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।