কল্লোল রায়চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বেহালার আদর্শনগর
কল্লোল রায়চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বেহালার আদর্শনগর। শোকে পাথর স্ত্রী। শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে দশ বছরের একমাত্র ছেলে। এটিএমের লাইনে এতক্ষণ পড়ে থেকে এভাবে যে চলে যেতে হবে কাছের মানুষটাকে, মানতে পারছেন না কেউই। সমাজ কেন এত এমানবিক, বারবার এই কথাটাই ঘুরেফিরে উঠে আসছে বেহালার বাড়িটিতে।
ওয়েব ডেস্ক: কল্লোল রায়চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বেহালার আদর্শনগর। শোকে পাথর স্ত্রী। শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে দশ বছরের একমাত্র ছেলে। এটিএমের লাইনে এতক্ষণ পড়ে থেকে এভাবে যে চলে যেতে হবে কাছের মানুষটাকে, মানতে পারছেন না কেউই। সমাজ কেন এত এমানবিক, বারবার এই কথাটাই ঘুরেফিরে উঠে আসছে বেহালার বাড়িটিতে।
আরও পড়ুন জনধন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
সম্প্রতি ইউটেরাসে টিউমার ধরা পড়ে স্ত্রী সীমা রায়চৌধুরীর। একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়েই কোচবিহারের কর্মস্থল থেকে বেহালার বাড়িতে আসা-যাওয়া। নব নালন্দায় পড়া দশ বছরের একমাত্র ছেলের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা তো ছিলই। সম্প্রতি যোগ হয় নোট-চিন্তা। কোচবিহার থেকে বারবার ফোনে স্ত্রীকে বলতেনও সে কথা। বাড়ি ফেরার সময় ব্যান্ডেলে নেমে টাকা তোলার কথাও বলেছিলেন।
আরও পড়ুন নোট সমস্যা মেটাতেই ম্যাজিকের মতো কাজ করছে E-ওয়ালেট
ব্যান্ডেলে নামাটাই শেষ নামা হল কল্লোল রায়চৌধুরীর। মানতে পারছেন না। আফসোস যাচ্ছে না। যদি পাঁচটা মিনিট আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত মানুষটাকে, হয়ত বাঁচানো যেত। কেউ কেন বাড়িয়ে দিল না একটু সহানুভূতির হাত। এই প্রশ্নটাই কুরেকুরে খাচ্ছে গোটা পরিবারটাকে। মুঠোয় ধরা হাতটা ছেড়েই গেছে। চিরকালের জন্য। নৈহাটি লোকালটাও ছেড়ে চলে গেছে অনেকক্ষণ। এটিএমের লাইনটা অবশ্য বেড়েই চলেছে।