নিজস্ব প্রতিনিধি : ক্যানসেল চেক দিয়ে ৫৮ হাজার ৫০০ চাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার কুমারটুলি এলাকায়। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিলীপ মাঝি কুমারটুলির বাসিন্দা। মাটির প্রদীপ, বাসন থেকে ঘর সাজানোর নানা জিনিস তৈরি করেন তিনি। কলকাতা ছাড়াও, বাইরে সেগুলি বিক্রি করেন তিনি। দিন কয়েক আগে এক ব্যক্তি দিলীপ মাঝিকে ফোন করেন। নিজের পরিচয় দেন সর্বভারতীয় একটি লোন প্রদানকারী সংস্থার এজেন্ট বলে। ব্যবসার জন্য অনেক সময়ই লোন নিতে হয় দিলীপবাবুকে। তাই তিনি ওই ব্যক্তিকে গত সোমবার দেখা করতে বলেন। সময় মতো ওই ব্যক্তি দিলীপবাবুর  কুমারটুলির বাড়িতে পৌঁছে যায়। ব্যবসার নথি পরীক্ষা করে দেখার পর তাঁকে লোনটি পাইয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়। পরিবর্তে একটি ক্যানসেল চেক ও ১০০ টাকা প্রসেসিং চার্জ বাবদ নিয়ে যায় অভিযুক্ত। দিলীপ মাঝির অভিযোগ, চেকে স্বাক্ষর করার সময় ওই ব্যক্তি নিজের কলমটি তাঁর দিকে এগিয়ে দিলেছিল। আর তা দিয়েই সই করেন দিলীপবাবু।


আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষকদের ইংরেজি পোক্ত করতে প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের


বুধবার সকালে হঠাত্ই অভিযুক্ত ব্যত্তি তাঁকে ফের ফোন করে বলেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছুটা টাকা অবিলম্বে জমা দিতে, নাহলে লোনটি বাতিল হয়ে যাবে। তার কথা শুনে বৃহস্পতিবার ৫০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করেন দিলীপবাবু। দুপুর ৩টে ১৭ নাগাদ তিনি মোবাইলে একটি এসএমএস পান তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাতে যে চেক নম্বর দেওয়া হয়েছে তা ওই ক্যানসেল চেকেরই। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্থানীয় ব্যাঙ্কে ছোটেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান চেকটিতে লেখা ক্যানসেল কথাটাই উধাও। বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও একজনকে।


ঘটনার পর কুমারটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। পুলিস চেকের সূত্র ধরেই তদন্তে নেমেছে।