`আইকোর-এর পৃষ্ঠপোষক এখন মন্ত্রী, তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত`, কাকে নিশানা কুণালের?
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কুণাল ঘোষ বারবার তাঁর অবস্থান বদল করেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় এমপি-এমএলএ আদালতে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। নাম না করে দলের নেতাদের নিশানা করলেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক।
কুণালের দাবি, আইকোর মডেলকে যিনি তুলে ধরেছিলেন তিনি আজ মন্ত্রী। তিনি একসময় আমাকে পাগল বলেছিলেন। এখন তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো দরকার। সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে যাদের নাম ছিল তারা দিব্বি ঘুরছেন। আমার দাঁতের যন্ত্রণার চিকিত্সা করা হয়নি। অথচ উডবার্নে অন্য প্রভাবশালীদের চিকিত্সা হয়। উডবার্ন কি হাসপাতাল নাকি কয়েদিদের আশ্রয়খানা। কাদের দিকে আঙুল তুলছেন কুণাল ঘোষ? উঠছে সেই প্রশ্ন।
এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম টেনে আনার ফলে কুণাল ঘোষের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের একটি চাপানউতোর শুরু হয়েছে। গতকাল এক ফেসবুক লাইভে এসে এনিয়ে একপ্রকার ফিরহাদের বিরুদ্ধে সরব হন কুণাল। তিনি যে মন্ত্রী নন তা ফিরহাদকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। এবার ফের বিতর্ক।
বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে আজ তলব করা হয় কুণাল ঘোষকে। বিচারক তাঁর কাছে জানতে চান, কী কারণে তিনি জেলবন্দি থাকার সময়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিয়ে ২০১৩-১৪ সালে তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল, জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর হতাসার কথা তুলে ধরেন। সেইসব কথার মধ্যেই কুণাল ঘোষ বলেন, আইকোর মডেলকে যিনি তুলে ধরেছেন, যিনি আইকোরের হয়ে মঞ্চে উঠে বক্তব্য রেখেছেন তিনি এখন মন্ত্রী। তিনি বাইরে থেকে আমাকে পাগল বলেছিলেন। তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকান উচিত।
এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেন, যাদের নামে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন তারা দিব্বি দল বদল করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। যে সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম সেই সময় অসম্ভব দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলাম। বারবার জেল কর্তৃপক্ষকে বলার পরও দাঁতের যন্ত্রণার চিকিত্সা হয়নি।
এনিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, এসএসকেএম-এ ভর্তির বিষয়টি একান্তভাবে সেখানকার চিকিত্সকদের সিদ্ধান্ত। কুণাল দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা দল যাতে বিব্রত না হয়, আমরা যদি সেইভাবে চলি তাহলে ভালো হয়।
কুণালের ওই বক্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কুণাল ঘোষ বারবার তাঁর অবস্থান বদল করেন। গত দুবছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপির তাজ খুলে ফেলছিলেন। 0এখন তাঁর পুরনো যন্ত্রণার কথা টেনে এনেছেন। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে, আইশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ও বিশিষ্ট কিছু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এটা একেবারেই তৃণমূলের গৃহদাহ। তবে তা যদি না হয় তাহলে পরিকল্পনা করে এই বিতর্ক তোলা হচ্ছে তপন কান্দু, হাঁসখালি, বগটুইয়ের ঘটনা চাপা দিতে।
আরও পড়ুন-Bagdogra Airport: বন্ধ হয়ে গেল বাগডোগরা বিমানবন্দর, ২ সপ্তাহ বন্ধ বিমান ওঠানামা