Manik Bhattacharya: `আজ রাতে ঘুমোলে কাল সকালে যেন আমার চোখ না খোলে’, আদালতে আর্জি মানিক ভট্টাচার্যের
মানিক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমি যেদিন গ্রেফতার হই তদন্তকারী সংস্থা একটি চিঠি নিয়ে আসে। কিন্তু সেই চিঠিতে কারও সই ছিল না। মাই লর্ড যেখানে আইন বলছে সই ছাড়া চিঠির আইনি বৈধতা নেই। তাহলে কী করে এই চিঠির ভিত্তিতে আমাকে কাস্টোডিতে নেওয়া হল?’
পিয়ালি মিত্র: এবার বিচারকের সামনে নিজের আর্জি নিজেই জানালেন মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘মাই লর্ড আমাকে রিলিফ চাই ।আমার কিছু বলার আছে। গোটা পশ্চিম বঙ্গে শিক্ষা ব্যবসা দুই ভাবে বিভক্ত’।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা প্রাথমিক, একটা আপার প্রাইমারি। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিজস্ব অ্যাক্ট অনুযায়ী তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অন্তরভূক্ত। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজস্ব অ্যাক্ট অনুয়াযী তৈরি হয়েছে এবং তারা ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশের পরীক্ষা নিয়ে থাকে। আমার ১০০০ পাতার যে চার্জশিট রয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে যে সম্পূর্ণটাই নবম দশম এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত। তাহলে আমি কী করে এখানে এলাম। প্রাথমিকে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাহলে আমি কী করে এই মামলায় যুক্ত হলাম? আমি তো কোনও ভাবে এর সঙ্গে জড়িত নই’।
তিনি আরও প্রশ্ন করেন, ‘ইডির মতো প্রিমিয়ার তদন্তকারী সংস্থা। তাহলে তারা কী ভাবে আমাকে দায়ী করলো?’
আরও পড়ুন: SSC Scam: নিয়োগ তদন্তের চাপ চরমে! অবশেষে কুন্তল ও শান্তনুকে বহিষ্কার তৃণমূলের
মানিক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমি যেদিন গ্রেফতার হই তদন্তকারী সংস্থা একটি চিঠি নিয়ে আসে। কিন্তু সেই চিঠিতে কারও সই ছিল না। মাই লর্ড যেখানে আইন বলছে সই ছাড়া চিঠির আইনি বৈধতা নেই। তাহলে কী করে এই চিঠির ভিত্তিতে আমাকে কাস্টোডিতে নেওয়া হল?’
তিনি আরও বলেন, ‘চন্দন মন্ডল বা অন্যরা চাকর দিয়ে থাকলে আমার কী করবো?’
মানিক ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছেন, ‘এই চিঠিতে জনৈক চাকরি প্রার্থীর নাম উল্লেখ রয়েছে। যিনি উত্তর দিনাজপুরের। চিঠি অ্যাড্রেস করা ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই চিঠি দেখিয়ে কী করে আমাকে কাস্টোডিতে নেওয়া হল আমি বুঝতে পারছিনা’।
আরও পড়ুন: Call Center Fraud: বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা, ভুয়ো কল সেন্টার কাণ্ডে গ্রেফতার অ্যাকাউন্ট প্রোভাইডার
মানিক ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ছিলাম। এতদিন আইন পড়েছি। কিন্তু ইডি হেফাজতে আসার পর থেকে আমিই আইন ভুলতে বসেছি’।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই দেশে কী গণতন্ত্র নেই। এটা কী পুলিস স্টেট হয়েছে গিয়েছে? মৌলিক অধিকার বলে কিছু নেই? এ তো সিনেমা তে হয়। রোজ আসছি। চলে যাচ্ছি’।
তিনি আদালতে জানিয়েছেন, ‘স্যার হয় আমাকে ছেড়ে দিন না হলে এমন একটা অর্ডার দিন যাতে আজ রাতে ঘুমোলে কাল সকালে যেন আমার চোখ না খোলে’।