নিজস্ব প্রতিবেদন: জোড়াবাগানে ৯ বছরের নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন ও তাকে খুনের ঘটনায় CBI তদন্ত চাইল পরিবার। তাদের দাবি দুজন নয় আরও কেউ আছে, যারা তাঁর মেয়ের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে। আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য নির্যাতিতার বাবা ও কাকাকে নিয়ে যান বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার জানিয়েছে, আমরা পুলিসের কাজে ও তাঁদের তৎপরতায় অখুশি নই, কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে গোটা ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে আছেন। পুলিস তাদের এখনও আটক করেনি। এমনকি আমাদের হাতে এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। 
অন্যদিকে, অনুপম হাজরা দাবি করছেন তৃণমূলের কেউ নিশ্চই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তাই পুলিস সঠিকভাবে তদন্ত করছে না।  


প্রসঙ্গত, 'ধর্ষণ' নয়, জোড়াবাগানে নাবালিকাকে 'গণধর্ষণ' করা হয়েছে। এমনই এক প্রমাণ মিলেছে।লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাগান (Jorabagan) কাণ্ডে এবার ৩৪ নম্বর ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নিদারুণ নৃশংসতার প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ৯ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার রামকুমার ও মার্বেল মিস্ত্রি রণবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীর দুজনেই। মদ্য়প অবস্থায় দুজনে মিলে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত করে। আবাসনের ছাদে নাবালিকার উপর প্রথমে যৌন নির্যাতন (Sexual Assault) চালায়। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন (Murder) করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে গলা চিরে দেওয়া হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, ছুরি নিয়ে এসেছিল কেয়ারটেকার রামকুমার। আর নাবালিকার গলায় ছুরি চালিয়েছিল রণবীর ওরফে রঘুবীর। আকণ্ঠ মদ্য়পান করে রামকুমারকে সঙ্গে নিয়ে কুকীর্তি সাধন করে রণবীর।