নিজস্ব প্রতিবেদন: দেড় মাস পরেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের গণইস্তফা নয়া নাটকের মোড় নিল। বেশ কিছু দিন ধরেই এসএফআইয়ের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, মানসিক নির্যাতন-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ জানিয়ে আসছিল দলেরই একাংশ নেতা কর্মীরা। কিন্তু এ বিষয়ে সিপিএম-এর শীর্ষ নেতৃত্বের ‘উদাসীনতায়’ কার্যত বাধ ভাঙে তাঁদের। শেষমেশ ৩১ জন কর্মীর স্বাক্ষর যুক্ত গণইস্তফা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ‘হাটে হাঁড়ি ভাঙার’ পরিস্থিতি তৈরি করল এসএফআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রে খবর, এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে দলের  শীর্ষ নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ৩১ জনেরই গণইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শীর্ষ নেতৃত্বের যুক্তি, দলের মধ্যে যথেষ্ট গণতন্ত্রের পরিসর রয়েছে। কোনও সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেতে পারত। কেউ যদি বেরিয়ে যেতে চায়, তাহলে কিছু করার নেই।  কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ভাবে অভিযোগ এনে দল-বিরোধী কাজ করেছেন তাঁরা। তবে, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন- বিপাকে অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-মারধরের অভিযোগ



আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি কলা বিভাগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তার আগে নজিরবিহীনভাবে ভাঙন এসএফআইয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয় ঘেরাও কিংবা সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিতর্কে গেরুয়া শিবিরে বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে এসএফআই কতটা লড়াই দিতে পারবে এখন সেটাই দেখার।