নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের শহরে বিধ্বংসী আগুন। এবার দমদমের গোরাবাজারে। উত্তুরে হাওয়ায় জতুগৃহ বাজার। সাত ঘণ্টার চেষ্টাতেও বাগে আসছে না আগুন। প্রশ্নে দমকল। ২৪ এর ক্যামেরায় হাহাকারের ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দমদমের গোরাবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো গেছে। আগুনের উত্‍স্যও চিহ্নিত করে ফেলেছে দমকল। যদিও, সম্পূর্ণ আগুন নেভানো যায়নি। রাত দেড়টা নাগাদ আগুন লাগে। দেড়শোটির বেশি দোকান ছাই হয়ে গেছে। কোটির টাকার ওপর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা।


ক্ষোভে ফুঁসছেন দমদমের গোরাবাজারের বাসিন্দারা। তাঁদের সরাসরি অভিযোগ দমকলের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী বলছেন, খবর দেওয়ার প্রায় দেড়ঘণ্টা পড়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকল। তাও মাত্র একটি ইঞ্জিন। তারও পরিকাঠামো যথেষ্ট ছিল না। জলের অভাব ছিল। পাইপও ফেটে যায়। ফলে অবাধে ছড়িয়ে পড়ে আগুন।


আরও পড়ুন : রেষারেষির জের! হাত কেটে বাদ গেল মহিলার


গোরাবাজারে কী করে আগুন লাগল তা বলতে পারছেন না এলাকাবাসী। তবে আগুন লাগা এই এলাকায় নতুন ঘটনা নয়। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, এই নিয়ে এখানে তিনবার আগুন লাগল। প্রশ্ন উঠছে বাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে। নিছকই দুর্ঘটনা? নাকি জতুগৃহ হয়ে ছিল গোরাবাজার?


আগুন লাগার খবর পেয়ে গোরাবাজারে পৌছন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাজারের ভিতরে পৌছন তিনি। আগুন তখন ছড়িয়ে পড়ছে একের পর এক দোকানে। একটি ইঞ্জিন দিয়ে সেই আগুন মোকাবিলার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মী। আশপাশের দোকান থেকে ফোঁস করে উঠছে লেলিহান শিখা। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মোবাইলের ক্যামেরায় আগুনের ছবি তোলেন নান্টু হাজরা। সেই ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ২৪ ঘণ্টায়।



কেউ বেঘোরে গেল। কারও স্বপ্ন ভঙ্গ। ক্ষতিগ্রস্ত হলেন এমন কয়েকজন যাদের কোনও দোষ ছিল না। প্রথমেই দেখা যাক এই পায়রাগুলিকে। বাজারের পুরনো বাড়িগুলির চিলেকোঠায় বাস। গভীর রাতে আগুন লাগে। অধিকাংশ পাখির মতোই পায়রারও রাতের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। তারা উড়ে পালাতেও পারেনি। ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে ছটফট করতে করতে শেষ হয়ে গেছে কেউ। কেউ বা বেঁচেছে। কোনও মানুষের মৃত্যু হয়নি। তবে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। সরস্বতী পুজো। চাঙ্গা বাজার। অতিরিক্ত আলু, পেঁয়াজ মজুত করে রাখেন কোনও কোনও ব্যবসায়ী। সকাল থেকে বিক্রি করার আশায়। সকাল যখন হল, সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই।


দমদমের গোরাবাজারে সবচেয়ে বড় ক্ষতি সম্ভবত ইউকো ব্যাঙ্কের আগুন। বাজারের ব্যবসায়ীরা তো বটেই, এলাকার বহু বাসিন্দার অ্যাকাউন্ট ও লকার রয়েছে এই ব্যাঙ্কে। কারও জমির দলিল, কারও দোকানের কাগজ জমা রয়েছে। রাতেই ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়। দমকল বাইরে থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ভিতরের ক্ষয়ক্ষতি কতটা তা এখানে জানা যায়নি।


আরও পড়ুন : ফোনে কথা বলতে বলতেই গঙ্গায় পড়ে যান ফ্লোটেল ম্যানেজার?