নিজস্ব প্রতিবেদন : চরিত্র বদল করে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গি। ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে এবার তিন দফতরকে একসঙ্গে নিয়ে কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হল কলকাতা পুরসভায়। পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সেলিব্রিটি দিয়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দরকারে মুন্নাভাইয়ের মতো গান্ধীগিরি করে আম জনতাকে এলাকা পরিষ্কার করার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকয়েক বছর ধরে কোনওভাবেই পরাস্ত করা যাচ্ছে না  মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গিকে। উল্টে রোগ ও মশা, উভয়ই চরিত্র বদল করে মারণ আকার ধারণ করছে। শহরে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। কীভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা পরিস্থিতি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে আজ কলকাতা পুরসভায় জরুরি বৈঠক ডাকেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র। সেই বৈঠকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।



বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২ দফতর  ও পুরসভা নিয়ে কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হবে। সেই দফতর দুটি হল স্বাস্থ্য দফতর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কমিটির সদস্যরা প্রতিনিয়ত নিজেদের যোগাযোগ রেখে চলবে। বৈঠকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি রুখতে ১০ নভেম্বর থেকে প্রতি ওয়ার্ডে প্রচার ও সাফাই অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা। প্রয়োজনে এলাকার সেলিব্রিটিদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালানো হবে। বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম জানান, দরকার হলে কাজে লাগানো হবে সিনেমার চরিত্রও। মুন্নাভাইয়ের মতো গান্ধীগিরি করে আম জনতাকে এলাকা পরিষ্কার করার আবেদন জানানো হবে।


আরও পড়ুন, ভাইফোঁটার পর চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্রেমবন্দি শোভন-বৈশাখী


এদিকে কলকাতায় ফের ডেঙ্গির বলি। বুধবার এক রাতে দুজনের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর মিলেছে। গতকাল ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় বাগবাজারের বাসিন্দা পূজা দাসের। সন্ধ্যায় সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চিনের এক নাগরিক। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে দেগঙ্গা ও হাবড়াতেও। গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন দেগঙ্গার কলেজছাত্রী পাপিয়া খাতুন। বারাসত থেকে আর জি কর হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে হাবড়ার বাসিন্দা সবিতা কুণ্ডুরও। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের ।  বেসরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ৩৮।