নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের বিতর্কে শনিবার তুলকালামকাণ্ড। বিতণ্ডার চলাকালীন জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানকে “তোমার ধর্ষণ হবে...” বলে অশালীন মন্তব্য করে বসেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক নার্গিস বেগম। নার্গিস ক্ষমাও চেয়ে নেন। ঘটনায় তৃণমূলী সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছে সিপিএম নেতৃত্ব। মহম্মদ সেলিমের কথায়,''নারী নির্যাতন, মহিলাদের উপরে অ্যাসিড আক্রমণের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের পরেই স্থান বাংলার। সেই রাজ্যের শাসক দলের বিধায়কের কাছে এটাই আশা করা যায়। বিরোধী মতকে শায়েস্তা করতে ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।''   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহম্মদ সেলিম বলেন,''বিধানসভায় তর্কবিতর্ক হতেই পারে। নির্বাচিত প্রতিনিধি মহিলা সদস্য হয়েও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন! সোনালি গুহকে ডেপুটি স্পিকার করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ওনাকে প্রোমোট করা হয়েছিল। একেও প্রোমোট করা হবে। দেশে নারী নির্যাতন, অ্যাসিড হামলার ঘটনা বাড়ছে। নারী নির্যাতনে উত্তরপ্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গ। সেই রাজ্যের শাসক দলের বিধায়কের কাছে এটাই আশা করা যায়। এটাই ওদের মানসিকতার পরিচয়।'' তিনি আরও বলেন,''এরা এভাবেই সমাজকে দেখে। বিরোধী মতকে শায়েস্তা করার জন্য ধর্ষণকে হাতিয়ার করা হয়। সঙ্ঘ পরিবার গোটা দেশে করছে তৃণমূল আমাদের রাজ্যে সেটা ব্যবহার করছে।'' সিপিএমের তরুণ নেতা শতরূপ ঘোষের কথায়,''সে দিনের তাপস পাল আজকের নার্গিস। প্রশান্ত কিশোর কেন, প্রশান্ত কিশোরের বাবা এসেও কুকুরের বাঁকা ল্যাজ সোজা করতে পারবে না।''


এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক নার্গিস বেগম। তখন জামুড়িয়ার বাম বিধায়ক জাহানারা খান অভিযোগ করেন, বাজেটে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দেওয়া হয়নি। দুজনের মধ্যে শুরু হয় বিতণ্ডা। তখনই কুকথা বলে ফেলেন নার্গিস। স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জাহানারা বলেন,''আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।'' বিতর্কে ইতি টেনে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''আমি সকালেই সঠিক শব্দচয়ন নিয়ে আবেদন করেছিলাম, এটা দুর্ভাগ্যজনক। নার্গিস বেগম দুঃখপ্রকাশ করবেন।'' নার্গিসের মন্তব্যের নিন্দা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,''এমন কিছু ভাষা ব্যবহার হচ্ছে যা গ্রহণযোগ্য নয়। চ্যারিটি বিগিংনস অ্যাট হোম। আমরা যদি ঠিকভাবে কথা না বলি তাহলে কীসের প্রতিনিধি? আমি বিধায়ককে ডেকে কথা বলেছি। দল এমন কথার অনুমোদন করে না । আমি নার্গিসকে বলেছি, কথা প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান।'' এরপরই ক্ষমা চেয়েছে নার্গিস বেগম সাফাই দেন, আমি মুখ ফসকে বলে ফেলেছি। হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি। সভার কার্যবিবরণী থেকে লাইনটি বাদ দেন স্পিকার।   


 


আরও পড়ুন- শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন না অমিত শাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক