জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের অধিকারের হস্তক্ষেপের চেষ্টা, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা, মিডিয়া ট্রায়াল-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আজ সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের ধাঁচে সরকার গড়ার চেষ্টা চলছে। আদালতের রায়ের আগেই চলছে মিডিয়া ট্রায়াল। যাকে খুশি অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এতে সম্মানহানি হচ্ছে। সম্মান, সম্মানই। এটে চলে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। এসব বন্ধ হওয়া উচিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, এলোপাথাড়ি গুলিতে জখম ৩  


রাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতা বর্তমানে জেলে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রবল চাপে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের একের পর এক রায়ে কোণঠাসা স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে মধ্যশিক্ষা পর্যদ। তার চাপ এসে পড়ছে সরকারের উপরে। পাল্টা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দিকেও আঙুল তুলতে কসুর করছে না রাজ্য।


জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবেদন করছি যাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বজায় থাকে তা দেখুক বিচারব্যবস্থা। বিনা কারণে মানুষকে নাজেহাল করার প্রবণতা ইদানিং বেড়ে গিয়েছে। বিচারব্যবস্থার উচিত সাধারণ মানুষ কোনও অন্যায়ের শিকার যাতে না হয় তা দেখা। আপনাদের যদি মনে হয় আমি ভুল বলছি তাহলে ক্ষমা করবেন। বলতে বাধ্য হচ্ছি, যে কোনও রায় বের হওয়ার আগে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে যাচ্ছে। বিচার ব্যবস্থার স্থান সবার উপরে। এই মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হওয়া উচিত। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যে কোনও সময়ে কারও বিরুদ্ধে কিছু বলে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের সম্মান একটি বড় সম্পদ। সম্মান চলে গেলে আর ফিরে আসে না।


মমতার বক্তব্য নিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, যথারীতি দুর্নীতিগ্রস্থদের আড়াল করার জন্য উনি বিচারপতিদের কাছে আবেদন করলেন। মিডিয়া ট্রায়াল কাকে বলে তা উনি জানেন না। আমাদের রাজ্যে কোনও ঘটনা আগে থেকে অনুসন্ধান করে বের করেনি। আদালতে যা হচ্ছে  সেটাই রিপোর্ট করছে মিডিয়া। উনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সারদা মামলার খবর যেন রিপোর্টিং না হয়। সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার রয়েছে। কোনও রাজনীতিবিদের কথা শুনে মিডিয়া চলবে না।


মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য যে যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে তারা  বিচার ব্যবস্থার উপরে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। বঞ্চিত, প্রতারিতরা বিচারের আশায় আদালতে যাচ্ছে। হাইকোর্টে আমরাও গিয়েছি। বিচারক, বিচারপতিরা প্রতারিতদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তা সরকারের পছন্দ হচ্ছে না। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)