`ন্যূনতম ভাড়া ১৪ টাকাই করতে হবে,` ৩ দিনের Bus Strike ঠেকাতে আজ বৈঠকে পরিবহন দফতর
GST-র কারণে ডিজেলের দাম অত্য়াধিক বেড়ে গিয়েছে। তাই ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা না করলে লাভের মুখ তাঁরা কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিফলে গিয়েছে আগের বৈঠক। কোনও রফাসূত্র মেলেনি। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৩ দিনের প্রস্তাবিত বাস ধর্মঘট (Bus Strike) ঠেকাতে আজ ফের তাই বৈঠকে বসছে পরিবহন দফতর। যেভাবেই হোক ৩ দিনের বাস ধর্মঘট ঠেকাতে মরিয়া পরিবহন দফতর। আজ বিকেল ৩টেয় পরিবহন দফতরের ময়দান টেন্টে এই বৈঠক হবে। বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পরিবহন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা। পরিবহন দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে ধর্মঘট আটকানোর প্রয়াস।
দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন আগেই। এরপরই বুধবার ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি- ৩ দিনের ধর্মঘটের (Bus Strike) ডাক দেন বাস ও মিনিবাস মালিকরা। তাঁদের একটাই দাবি, ভাড়া (fare) বাড়াতে হবে। ন্যূনতম ভাড়া করতে হবে ১৪ টাকা। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যেই টানা ৩ দিন একযোগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিকদের ৫টি সংগঠন। আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য পরিবহন দফতরের তরফে মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সচিব বা সভাপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সরকার ও বেসরকারি বাস। মানুষ গৃহবন্দি ছিল। এরপর ধীরে ধীরে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। রাস্তায় নেমেছে সরকারি-বেসরকারি বাস ও মিনিবাস। কিন্তু ন্যূনতম ভাড়া (fare) দ্বিগুণ না করলে আর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন বাস মালিকরা। GST-র কারণে ডিজেলের দাম অত্য়াধিক বেড়ে গিয়েছে। তাই ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা না করলে লাভের মুখ তাঁরা কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি।
উল্লেখ্য, বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠক হয় বাস ও মিনিবাস সংগঠনগুলির। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বাসের ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে হবে। অর্থাৎ বাস উঠলেই দিতে হবে ১৪ টাকা! সরকার সেই দাবি না মানলে বাসরুট বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন মালিকরা। গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত সরকারকে তাঁরা সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, রাজ্যের ৩০ শতাংশ ভোটারকে খুশি করতেই নেতাজিকে অপমান করেছেন Mamata-জি : Kailash