নিজস্ব প্রতিবেদন:  আতঙ্কের রেশ যেন কাটছেই না! বউবাজারের প্রত্যেক বাসিন্দাই প্রহর গুনছেন, এই বুঝি আসে বাড়ি খালি করার নির্দেশ। বৃহস্পতিবার রাতও তার ব্যতিক্রম হল না। বউবাজারের গৌর দে লেনের পরপর চারটি বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিল মেট্রো। এই বাড়িগুলিতে ফাটল সুস্পষ্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বউবাজারের গৌর দে লেনের ৪এ,  ৪বি,  ৪সি এবং ৪ডি পরপর এই চারটি বাড়ি দ্রুত খালি করে দেওয়ার নোটিস দিলেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। প্রত্যেকের বাড়িতেই ফাটল ধরে গিয়েছে। একই সঙ্গে ৬এ গৌর দে লেনের প্রায় ২০০ বছর পুরোনো রাধা-গোবিন্দর বাড়ি বা ঝুলন বাড়িও খালি করার নোটিস জারি করা হয়েছে মেট্রো রেলের তরফে।


তাঁদের প্রত্যেকেরই অভিযোগ, বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েই দায় সারছে মেট্রো। কিন্তু কোথায় থাকব তার  ঠিকঠাক কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি মেট্রোর তরফে।


কারোর আবার প্রশ্ন, একবার এখান থেকে উঠে গেলে পরে আবার নিজের বাড়ি ফেরত পাবো তো?  লিখিত ভাবে কিছুই বলছে না কেউই, ফলে অনিশ্চয়তা আর সব হারানোর বেদনা গ্রাস করছে বউবাজারের বাসিন্দাদের।


গরিবি আছে, টাকায় কুলোলে করে দেব, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বার্তা মমতার


তবে মেট্রোর তরফে একটাই কাজ করা হয়েছে। একটা সাদা কাগজে সবার নাম লিখে নিয়ে গিয়ে শুধু একটা মেট্রোর স্ট্যাম্প দিয়ে দিচ্ছেন আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে ভরসা রাখতে নারাজ সর্বহারারা।



যদিও বৃহস্পতিবার KMRCL-র বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বউবাজারে ঘরছাড়াদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে মেট্রো। 


যতগুলি পরিবার ও দোকানদারকে সরানো হবে, প্রত্যেককে আপত্কালীন খরচের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেবে মেট্রো। চেক পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পুরসভার কাউন্সিলর আইডেনটিফিকেশন সার্টিফিকেট দেবে বলেও ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম।


এরফলে ব্যাঙ্কের পাসবই ছাড়া পেয়িং স্লিপ দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন বাসিন্দারা। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্ডের জন্য আবেদনও করতে পারবেন তাঁরা। এদিনের বৈঠক শেষে জানিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম।