নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল রাত থেকেই বিপর্যস্ত বৌবাজার এলাকা। আতঙ্কে বাসিন্দারা। মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজের জন্য বৌবাজারের এই পরিস্থিতিকে কার্যত বেনজির ঘটনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, বৌবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৫৪ জন বাসিন্দার সমস্ত দায়িত্ব নেবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আপাতত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে সেখানেই তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর বৌবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির মেরামতি শুরু করা হবে। পুরনো বাড়ি সারানো না গেলে নতুন করে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নতুন বাড়ি না মেলা পর্যন্ত বাসিন্দাদেরর জন্য সাময়িক ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করবে কেএমআরসিএল। আপাতত সেখানেই থাকবেন বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, ওই এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ সম্ভব না হলে অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।



শনিবার অন্যদিকে সূত্রের খবর, সিভিএম টেকনোলজি ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ এগোনোর সময় সময় হঠাৎই ভেঙে যায় টানেলের একটি ওয়াটার পকেট, জল ঢুকে ভাসতে থাকে টানেল। টানেলের সঙ্গে বেরতে থাকে মাটিও। এদিকে ওয়াটার পকেট ভেঙে মাটির চাপ সরে যাওয়ায় নষ্ট হয় মাটির ভারসাম্য। মাটি বসে গিয়ে এলাকায় শুরু হয় দুর্ঘটনা। ভাঙতে থাকে একের পর এক বাড়ি। যদিও বৌবাজার এলাকার টানেলটি ইতিমধ্যেই ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ সমস্ত কাজ। পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিস কন্ট্রোলরুম-সহ রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকলের আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন: বৌবাজারের বিপর্যয়ের দায় মানল মেট্রো, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পুনঃনির্মাণের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের


জানা যাচ্ছে, বৃষ্টি বাড়ির ধস সবমিলিয়ে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এলাকার বিপজ্জনক বাড়িগুলোর ওপর রাতভর নজরদারি চলবে। উল্লেখ্য টিবিএম মেশিন ব্যবহার করে এর আগেও একাধিক কাজ করা হয়েছে তবে মেট্রোর ইতিহাসে এমন কোনও ঘটনার নজির নেই বলেই জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ররা। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।