`এই কর্মসূচিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি`, `দুয়ারে সরকার` ইস্যুতে দিলীপকে পাল্টা ফিরহাদের
`রাজ্য়ের কাছে আয়ুষ্মান ভারতের থেকে স্বাস্থ্যসাথী অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এই কর্মসূচিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের এখন কিছুই করার নেই, যতক্ষণ না নির্বাচন ঘোষণা হচ্ছে।' 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' ইস্যুতে দিলীপ ঘোষকে পাল্টা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সাফ কথা, 'কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের থেকে রাজ্যের কাছে স্বাস্থ্যসাথী অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। রাজ্যপালের কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। চাকরি বাঁচানোর জন্য তিনি যা খুশি করতে পারেন।'
আরও পড়ুন: তৃণমূলেই থাকছে শুভেন্দু: সৌগত, সৌগতবাবুর কথা বিশ্বাস করছি না: দিলীপ
'যার যখন যেখানে দরকার, আপনার দুয়ারে সরকার।' বিধানসভা ভোটের মুখে বাঁকুড়া সফরে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি। রাজ্যের ২০ হাজার ব্লকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো রাজ্য সরকারের মোট ১২টি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষকে বিশদের জানাতে, তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে, এমনকী, যদি কেউ প্রকল্প থেকে বাদ গিয়ে থাকে, তাহলে তাঁর নাম নথিভুক্ত করার লক্ষ্য়েই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বুধবার এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে সাড়াও মিলেছে যথেষ্টই।
এই কর্মসূচির মাধ্য়মে সরকারি খরচে দলের প্রচার করা হচ্ছে না তো? ভোটের মুখে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। এই 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিকে 'নির্বাচনী স্টান্ট' বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'ঘরে ঘরে মমতা কর্মসূচি আসলে নির্বাচনী স্টান্ট। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার এর আগে এধরনের অনেক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মানুষ কিছু পায়নি। যদি বিডিওরা মানুষের কাছে যান, তাহলে ভালো। ইলেকশনকে কেন্দ্র করে স্টান্ট হচ্ছে।' তাঁর হুঁশিয়ারি, সরকারি মঞ্চ থেকে 'দুয়ারে সরকারের' দলের প্রচার হলে আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। নালিশ জানানো হবে নির্বাচন কমিশনে। এবার তার জবাব দিলেন পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের স্বেচ্ছাসেবক হতে চান রাজ্যপাল, 'বয়সের কারণে বিধিনিষেধ' জানাল নাইসেড
এদিকে আবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথীর আদলে 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পটি কিন্তু এ রাজ্যে লাঘু করেনি সরকার। কেন করা হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই প্রসঙ্গেও এদিন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যথারীতি কটাক্ষ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে