তন্ময় প্রামাণিক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসেই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য মন্ত্রীর। পেশায় চিকিত্সক মন্ত্রী নির্মল মাজির এহেন ইতিহাসবিভ্রাটে হাসির রোল উঠল দর্শকাসনে। কেউ আবার হাসলেন মুখ চেপে। 


সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেখানেই এক অনুষ্ঠানে যোগ যোগ দেন পেশায় চিকিত্সক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী নির্মল মাজি। সেখানেই তিনি মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাস নিয়ে বলতে গিয়ে বেফাঁস কথা বলে ফেলেন তিনি। নির্মলবাবু বলেন, 'ডিরোজিও আমাদের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন। নন মেডিক্যাল প্রিন্সিপাল...খুব কম বয়সে।' 


VIDEO: দলের ফলে না-খুশ, তেরঙা ছুড়ে ফেলে দিলেন অনুব্রত 


মন্ত্রী মশাইয়ের এহেন ইতিহাস জ্ঞানে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত চিকিত্সকরা। কেউ কেউ হাসি চাপতে পারেননি। সভা শেষে একটাই প্রশ্ন, ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল হতে পারে ১৮৩২ সালে প্রয়াত একজন ব্যক্তি?


চিকিত্সক তথা ইতিহাস গবেষক শঙ্কর নাথ জানালেন, '১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। প্রথম প্রিন্সিপাল হন চিকিত্সক মাউন্ট ফোর্ড জোসেফ ব্রামরি। কিন্তু আড়াই বছর পর হঠাত্ মৃত্যু হয় তাঁর। ১৮৩৭ সালে ওই পদটি তুলে সেক্রেটারি পদ প্রবর্তন করে ব্রিটিশ সরকার। এটি মেডিক্যাল কলেজের সর্বোচ্চ পদ হলেও এতে বসতে পারতেন চিকিত্সক নন এমন কোনও ব্যক্তি। সেক্রেটারি পদে বসানো হয় ডেভিড হেয়ারকে। তিনিই এখনো পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের একমাত্র অ-চিকিত্সক প্রধান। ১৮৪১ সালে মৃত্যুর আগের বছর ওই পদ থেকে সরে যান ডেভিড হেয়ার। ১৮৫৬ সালে সেক্রেটারি পদটির অবলুপ্তি ঘটিয়ে প্রিন্সিপাল পদটি ফিরিয়ে আনে ব্রিটিশ সরকার।' 


প্রদেশ কংগ্রেসে বড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ মালদার সাংসদ মৌসম বেনজির নুরের


শঙ্করবাবু জানিয়েছেন, 'প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র, সমাজসংস্কার ও অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু হয় ১৮৩২ সালে। মৃত্যুর পর তাঁর ঠাঁই হয়নি কলকাতার কোনও খ্রিষ্টীয় গোরস্থানে। ফলে কলেজ স্কোয়ারের দক্ষিণে একটি জায়গায়।' কী করে ১৮৩২ সালে মৃত ব্যক্তি ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল হতে পারেন? ইতিহাস না জেনে কী ভাবে ভরা সভায় ভুল তথ্য পেশ করলেন মন্ত্রী প্রশ্ন তুলছেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকরাই।