নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চসায়র গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত নাবালক, মনস্তত্ত্বের বিচারে সাবালক। অভিযুক্তের মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার রিপোর্টে এমনই দাবি পুলিসের। রিপোর্ট দেখে পুলিসের অনুমান, অপরাধ মনস্তত্ত্বের বিচারে ওই নাবালককে, সাবালক প্রমাণে অসুবিধা হবে না। NRS হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড ও নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করে। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই মামলার চার্জশিট দাখিল করবে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই প্রথম এই ধরণের রিপোর্টকে হাতিয়ার করল কলকাতা পুলিস। আগেই ধৃত নাবালককে, সাবালক হিসেবে বিবেচনা করে বিচার চালানোর আবেদন করেছিল লালবাজার। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে এই নিয়ে আবেদনও করা হয়। গত ১১ নভেম্বর পঞ্চসায়রের এক হোমের আবাসিককে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত নাবালকই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিতার ওপর অত্যাচার করেছিল বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন:ট্রেন নেই; বিমান ধরাছোঁয়ার বাইরে, হোটেলেই আটকে দিনহাটার ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা


২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর আইনে বদল আনে সংসদ। সংশোধিত আইনে বলা হয়, ১৬ থেকে ১৮ বছরের নাবালক যদি ধর্ষণ, খুন বা অ্যাসিড নিক্ষেপের মতো গুরুতর অপরাধ করে, তখন নাবালককেও সাবালক হিসেবে ধার্য করে বিচার চালানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। যদিও রিপোর্ট ছাড়াই তাকে নতুন আইনে সাবালক হিসেবে ধরা হবে। কারণ, আইনের চোখে ধর্ষণ  সবসময়েই নৃশংস। বলছেন আইনজীবীরা। একজন নাবালক কীভাবে এই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে তা দেখা উচিত। এমনই মত মনস্তাত্বিকদের।