নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল। সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'তিনি যে আচরণ ও ভাষা প্রয়োগ করেছে দলের অপর বিধায়ক সম্পর্কে, তা সমর্থনযোগ্য নয়'। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্ত বিধায়ককে শোকজের জবাব দিতে হবে বলে জানা দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন ভরতপুরের বিধায়ক, আর একজন রেজিনগরের। মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীর ও রবিউল আলম চৌধুরীর দ্বন্দ্ব বহুদিনের। বৃহস্পতিবার শক্তিনগরের একজনসভায় হাজির হয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। সেই সভায় রেজিনগরের বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে তাঁকে বলতে শোনা যায়,  'খুব সাবধান রবিউল চৌধুরি। আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিতে এলে হাড়গোড় এক করে দেব'। সেই বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দলের দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছেন রবিউল।  হুমায়ুনের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। 


 



এদিন কলকাতা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের আমাদের এমএলএ হুমায়ুন কবীর শক্তিনগরের জনসভায় যেভাবে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন, যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, দল তদন্তসাপেক্ষে তা অনুমোদন করে না। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে, তৃণমূলের মহাসচিব হিসেবে ফোন ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাঁকে ধরা যায়নি'। জানিয়েছেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলের তরফে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। তিনি যে আচরণ ও ভাষা প্রয়োগ করেছে দলের অপর বিধায়ক সম্পর্কে, তা সমর্থনযোগ্য নয়'।


আরও পড়ুন: জল-যন্ত্রণার ছবি দেখতে এসে ক্ষোভের মুখে হিরণ, দোষ চাপালেন পুর প্রশাসকের ঘাড়ে


২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে রেজিনগরের বিধায়ক হন হুমায়ুন কবির। তবে এরপর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। কিন্তু দলবদলের পর জিততে পারেননি উপনির্বাচনে। কংগ্রেস প্রার্থী  রবিউল আলম চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন হুমায়ুন কবীর। ২০১৬-র ভোটেও  ফের কংগ্রেসের টিকিটেই রবিউল। এরপর তিনিও যোগ দেন তৃণমূলে। এবারের ভোটে  ভরতপুর থেকে বিধায়ক হয়েছেন হুমায়ুন কবির। রেজিনগরে জিতেছেন রবিউল আলম চৌধুরীও