নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অভিভাবকদের মধ্যে একটা গুঞ্জনও তৈরি হয়েছিল। আতঙ্কে ভুগছিলেন তাঁরাও। কিন্তু হাতেনাতে কোনও প্রমাণ মিলছিল না। অবশেষে তা মিলল। ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলের মধ্যে এক অশিক্ষক কর্মীকে গণধোলাই দিলেনঅ ভিভাবকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস গেলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় অভিভাবকদের। ঘটনাকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত কেষ্টপুরের  একটি বেসরকারি  স্কুল। দেখুন সেই দৃশ্য...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 কেষ্টপুরের এই স্কুলে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়।  অভিভাবকদের অভিযোগ, গত কয়েক সপ্তাহে দুই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি  করছিল।  কিন্তু তারা বিশেষ কিছু বাড়িতে বলতে পারেনি।  বুধবার ফের এক ছাত্রী বাড়ি ফিরে  কাঁদছিল। সেসময় তার মা তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখনও ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকরাও এনিয়ে নিজেদের সন্তানের কাছে জিজ্ঞাসা করেন।


আরও পড়ুন: নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ ফের আদালতে পেশ কর্নকে, তবে এখনও ফেরার ২ দুষ্কৃতী


অভিযোগ, স্কুলের অশিক্ষক কর্মী দিব্যেন্দু সরকার ওই তিন ছাত্রীকে আঁকা দেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে।  খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা।  দিব্যেন্দুকে দেখা মাত্রই স্কুলের ভিতর ঢুকে প়ডেন তাঁরা। ক্লাসরুমের মধ্যেই দিব্যেন্দুকে গণধোলাই দিতে শুরু করেন অভিভাবকরা।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিস। পুলিস দিব্যেন্দুকে উদ্ধার করতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  পুলিসের সঙ্গেই ধস্তাধস্তি হয় অভিভাবকদের। পরে পুলিস দিব্যেন্দুকে গ্রেফতার করে।