ওয়েব ডেস্ক:মোমিনপুর মেট্রো স্টেশনের জট কাটাতে এবার নয়া উদ্যোগ। সেনাবাহিনীর এলাকা থেকে কম জমি নিয়ে, বদলে পাশের একটি পেট্রোল পাম্পের জমি নিয়ে স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে মেট্রো। মেট্রোর আশা, এই পথেই হয়ত কাটবে স্টেশন তৈরির জট। তবে জমি পেতে দরকার রাজ্য সরকারের সাহায্য।
বিবাদিবাগ মেট্রো প্রকল্পে বহুদিনের কাঁটা মোমিনপুর স্টেশন। জমি-জটে আটকে কাজ। প্রথমে ঠিক হয়, মোমিনপুরে জাজেস কোর্ট রোড সংলগ্ন সেনাবাহিনীর যে জায়গা রয়েছে  সেখানে থেকে পঁচিশশো স্কোয়ার  মিটার জমি নিয়ে তৈরি হবে স্টেশন।  কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় সেনাবাহিনী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেনাবাহিনীর বক্তব্য ছিল এতে ঐ অংশে থাকা তাদের একটি স্কুলের অনেকেটাই ভাঙা পড়বে। এর জেরে ভেস্তে যেতে বসেছিল মোমিনপুর স্টেশনের পরিকল্পনাই। এদিকে এই স্টেশনটি না হলে, দুর্ভোগে পড়তে হত যাত্রীদের। সেক্ষেত্রে মাঝেরহাটের পরের স্টেশন হত একেবারে খিদিরপুর। মাঝে দূরত্ব হয়ে দাঁড়াচ্ছিল প্রায় ২.১ কিলোমিটার।


সাধারণত দুটি মেট্রো স্টেশনের মাঝে সর্বাধিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব রাখা হয়। মাঝেরহাট-খিদিরপুরের মাঝের দূরত্ব তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়ে যেত। মোমিনপুর স্টেশনটি না হলে, সমস্যা আরও অনেক  রয়েছে। এখানে স্টেশন করা না গেলে মাঝেরহাটের পরে প্রকল্প এগোনর ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হত। 
ট্রেন একেবারে মাঝেরহাট থেকে খিদিরপুর চলে গেলে, যাত্রী অনেক কম হত। লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হত মেট্রো কর্তৃপক্ষের। মোমিনপুর ও সংলগ্ন এলাকা অত্যন্ত জনবহুল। ফলে এলাকাবাসীও বঞ্চিত হতেন মেট্রো পরিষেবা থেকে। স্টেশন তৈরির এই জটিলতা কাটাতেই, এবার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসরে নামল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। 


আগে ঠিক ছিল, ডায়মন্ডহারবার রোড, জাজেস কোর্ট রোডের সংলগ্ন সেনাবাহিনীর এলাকা থেকে  প্রায় আড়াই হাজার স্কোয়ার মিটার জমি নিয়ে তৈরি হবে মোমিনপুর স্টেশন। যার মধ্যে রয়েছে  স্কুলের একটা বড় অংশ। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবার সেনার জমির খুব সামান্য অংশ, যা পাঁচশো স্কোয়ার মিটারের বেশি হবে না, সেটি দরকার পড়বে মোমিনপুর স্টেশন বানানোর জন্য। সেক্ষেত্রে পাশে থাকা একটি পেট্রোল পাম্পের জমি পুরোটাই অধিগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে রাস্তার ওপরেই তৈরি হবে নতুন মেট্রো স্টেশন।


সেনার পাঁচশো স্কোয়ার মিটার জমি নিয়ে, ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। মেট্রোর আশা, এই অল্প পরিমাণ জমি দিতে রাজি হয়ে যাবেন তাঁরা। 
দরকার পেট্রোল পাম্পের মালিকের সম্মতিও। সে কাজে জমি অধিগ্রহণের দায়িত্ব অনেকটাই বর্তাতে পারে রাজ্যের ওপর। পথ তৈরি। এবার বাধা কেটে গেলেই, মোমিনপুর স্টেশন বাস্তব হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।