রণয় তিওয়ারি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মর্মান্তিক। ছেলে মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। বুঝতেই পারেননি শয্যাশায়ী মা। ঘরে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিসে খবর দেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিস। ঘটনা গড়িয়ার রামগড়ের।


আরও পড়ুন-সেদিন সঠিক ছিলেন বুদ্ধদেব, সিঙ্গুরে বিজেপির জয়ের পর বিলম্বিত বোধোদয় সিপিএমের?


রামগড়ের নেতাজিনগরে একটি বাড়ির নীচের তলায় বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকতেন ৩৯ বছরের সোমনাথ কুণ্ডু। দিন পনেরো আগে সোমনাথের জন্ডিস ধরা পড়ে। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শুক্রবার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিস। দেখা যায় পচে গিয়েছে সোমনাথের দেহ। আর তার পাশেই শুয়ে রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধা মা  উত্তমা কুণ্ডু। বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে সোমনাথের দেহ।



প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, গত তিন বছর ধরে ওই বাড়িটিতে রয়েছেন সোমনাথ কুণ্ডু। বাড়িতে বসেই কম্পিউটার সারাইয়ের কাজ করতেন। অত্যন্ত মিশুকে ছেলে বলে এলাকায় পরিচিতি ছিল সোমনাথের। কয়েকদিন আগে তার জন্ডিস হয়েছিল বলে পাড়া সূত্রে যানা যাচ্ছে। ছেলে যে মারা গিয়েছেবন তা বুঝতেই পারেননি বৃদ্ধা মা। বাইরের কাউকে ডাকেননি অসুস্থ ওই পৌঢ়া।


আরও পড়ুন-ইংরেজি আসে না, সেই অবসাদে আত্মহত্যা করল সেন্ট জেভিয়ার্সের মেধাবী ছাত্র?   


এখন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন সোমনাথের মা। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, সোমনাথ আমার বড় ছেলে। চাকরি করে। জন্ডিস হয়েছিল। ওকে জল খেতে বললাম। এতে প্রস্রাব হবে। তা হয়নি। অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছে। তিন দিন হল অসুস্থ। ডাক্তার দেখানো হয়েছিল।