নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ওই চিঠির কারণে যদি পদ থেকে সরানো হয়ে থাকে, তাহলে তাঁকে ধন্যবাদ জানাব।' ঘর ওয়াপসির পরেও জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) ডানা ছাঁটাই নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। বললেন, 'জিতেন্দ্র তিওয়ারি ববি হাকিমকে যে চিঠি লিখেছেন, তাতে তিনি সবটাই ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে লিখেছেন। আসানসোলের মানুষ বুঝতে পেরেছেন, আমি মন থেকে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নিজেই স্পিড ব্রেকার হয়ে বাধা দিয়েছেন।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখন তিনি আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শহরবাসীকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) চিঠি দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, 'কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক আসানসোলকে (Asansol) স্মার্ট সিটি প্রকল্পের (Smart City Project) জন্য বেছে নেয়। আপনারা অনুমতি দিলে শহরের উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকা আসত। রাজনৈতিক কারণে সরকার ছাড়পত্র না দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।' এই চিঠিকে ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয় এবং শেষপর্যন্ত আসানসোলের পুর প্রশাসক, এমনকী, দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)।  


আরও পড়ুন: বরফ গলে জল! হাওড়ায় মিছিলে পাশাপাশি অরূপ-প্রসূন, নেই রাজীব-লক্ষ্মী


তারপর? তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্য মিটতেও বেশি সময় লাগেনি। কলকাতায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) সঙ্গে বৈঠকের পরেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়ে দেন, 'আমার আচরণে দুঃখ পেয়েছেন দিদি। দিদিকে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে বাঁচতে পারব না। দলেই আছি। দল ছাড়ছি না।' এমনকী, 'ইস্তফা গ্রহণ না করার' অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ঘর ওয়াপসির পরেও পুরনো পদ আর ফিরে পেলেন না পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। দলের জেলা কমিটি থেকে জিতেন্দ্রকে বাদ দিল দল। নতুন সভাপতি হলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বলেন, 'নতুন যিনি এসেছেন, তিনি না জেনেই উল্টোপাল্টা কথা বলতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের এই কালচার কয়েক মাস চলার কথা। সেটাই চলবে।' 


আরও পড়ুন: শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সিরাজকে দলে ফিরিয়ে গেরুয়া শিবিরকে 'ধাক্কা' তৃণমূলের?


উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূলের নয়া জেলা কমিটি ঘোষিত হওয়া পর টুইট করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। কমিটির সদস্য়দের অভিনন্দন জানিয়ে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


 




প্রসঙ্গত, জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদ ধরে রাখলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিমের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালকে। রানিগঞ্জ এবং জামুরিয়ার কো-অর্ডিনেটর হরেরাম সিং। আসানসোল উত্তর এবং দক্ষিণ বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর ভি শিবদাসন।