নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জল দুধের সাথে বন্ধুত্ব করল এবং নিজের স্বরূপ ত্যাগ করে দুধের সঙ্গে মিশে গেল'। ফেসবুকে ফের দীর্ঘ পোস্ট দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কীসের ইঙ্গিত? সাংসদের ব্যাখ্যা, 'শিক্ষা ও শিক্ষিত ছাত্রের মধ্যে রাজনীতিবিদরা ঢুকে পড়েছেন।  বেনোজলরা এখন চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। সেটাই বলতে চেয়েছেন'।  তবে, রাজনৈতিক মহলে কিন্তু জল্পনা তুঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সবটাই  ফেসবুকে। গতকাল যখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বাংলার চার সাংসদ, তখন যুবমোর্চার সভাপতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সৌমিত্র খাঁ। রাতে আবার জানান, 'বিএল সন্তোষ, অমি শাহ  ও তেজস্বী সূর্যের নির্দেশে ইস্তফার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন'! 


 



মাঝে আবার ফেসবুক লাইভে এসে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। বলেন, 'যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। আমি এলাকায় না প্রবেশ করে জিতেছি। আমার মনে হয়েছে যুবমোর্চার পদ দিয়েছে দল। লড়াই করেছি। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন  তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে চলছে তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে লড়াই করা মুশকিল হয়ে উঠছে। এখন যিনি নেতা হয়েছেন পুরো ফোকাস এক জায়গায় চলে গিয়েছে। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলে বড় নেতা দেখিয়েছেন।' সৌমিত্রের কথায়, 'মাননীয় সভাপতিকে বললেও অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলা বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভালো কিছু হবে না। নতুন নেতা এসে দিল্লির নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করেছেন। দলটা একটা জেলার মধ্যে চলে যাচ্ছে। পরিষ্কার বলছি, নরেন্দ্র মোদী যতদিন বাঁচবেন বিজেপি করব।'


 



এদিন বিধানসভায় মুকুল রায়কে পিএসির চেয়ারম্যান ঘোষণা করার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। রাত গড়াতেই ফের ফেসবুকে পোস্ট দিলেন সৌমিত্র খাঁ। লিখলেন , 'জল দুধের সাথে বন্ধুত্ব করল এবং নিজের স্বরূপ ত্যাগ করে দুধের সঙ্গে মিশে গেল। এই দেখে দুধ জলকে বলল, তুমি যেভাবে শুধু বন্ধুত্বের কারণে নিজের স্বরূপ ত্যাগ করে আমার সঙ্গে মিশে গেলে, আমিও আমাদের বন্ধুত্ব পালন করব, আজ থেকে তুমিও আমার দামেই বিক্রি হবে'!


 



এই ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে ঠিক কী বলতে চাইছেন? Zee ২৪ ঘণ্টাকে সৌমিত্র খাঁ বললেন, 'শিক্ষা ও শিক্ষিত ছাত্রের মধ্যে রাজনীতিবিদরা ঢুকে পড়েছেন।  বেনোজলরা এখন চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিবিদরাই সমাজটা কলুষিত করছেন'। স্রেফ এটুকুই? বিজেপি সাংসদের জবাব, 'যদি রাজনীতির দিক থেকে দেখতে চান, তাহলে তৃণমূল থেকে এসে এমনভাব মিশে গিয়েছে, যে বিজেপি  ছাড়া আমি বাঁচব না'। সঙ্গে যোগ করলেন, 'কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এতটাই ভালো যে, আশা করি রাজনীতিটা ভালোভাবেই করতে পারব। রাজনীতিতে অভিমান থাকবেই, অভিমান ছাড়া রাজনীতি হয় না। বাড়িতে বউয়ের সঙ্গে তো অভিমান হয়'।


প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে যেভাবে সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) ফেসবুক লাইভে আক্রমণ করেছেন তা মোটেও ভালো চোখে নিচ্ছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গে বৃহস্পতিবার ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন,'পার্টির জন্য কেউ অপরিহার্য নয়।'