নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মুচিবাজারের ইস্ট ক্যানেল রোড। স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিতেই এক জায়গায় এক সপ্তাহে দুজনের মৃত্যু আর তাতেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার দায় এড়াতে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের গায়ে দোষ চাপালেন কাউন্সিলর। কাজ না করলে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তেই হবে, পাল্টা কটাক্ষ  করলেন সাধন পাণ্ডে। অস্বস্তিতে দল।
 
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। ইস্ট ক্যানেল রোডের সাহেববাগান এলাকায় ট্যাঙ্কি থেকে জল আনতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বছর চুয়াল্লিশের পুষ্প বর্মা নামে এক প্রৌঢ়ার। এর ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ওই এলাকায় একইভাবে মৃত্যু হয় আরও এক স্থানীয় বাসিন্দার । এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে এলাকায় এবং তা দীর্ঘদিন ধরে থাকে। তা নিয়েই ক্ষোভ জমতে থাকে এলাকাবাসীর মনে ।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 এদিকে, বিদ্যুতের তারও অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। একটি বিদ্যুতের পোল ভেঙে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। ফলে ঘিঞ্জি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ করেন না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ ।

প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে মুচিবাজার এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা । পরে কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান, ভাঙচুর করেন। দায় এড়াতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন সাধন পাণ্ডে। তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে এইসব হয়েছে ।

আরও পড়ুন:  ৩০০০ থেকে ৩ কম, রাজ্যে ফের করোনার রেকর্ড সংক্রমণ, মৃত ৫৬

সাধন পাণ্ডে অবশ্য অত্যন্ত হালকাভাবে এর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন । তাঁর বক্তব্য, “কাউন্সিলর অবান্তর কথা বলছেন । দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কথা বললে আমি বলবো না কিছুই । যদি বলি পোল ঠিক হয়নি কেন? ওঁর দোষ এটা।  কেউ নিজের কাজ না করে অন্যকে দোষ দিলে হবে! আমার কাজ এটা?  পার্টি দেখবে পুরো বিষয়টা।”