নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির মঞ্চে প্রথম আবির্ভাবে তিনি কী বলেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলা। আর প্রথম দিনেই একের পর এক শেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন মুকুল রায়। মুকুলের নিশানা থেকে বাদ গেল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। মুকুলের একেকটি আক্রমণে বিজেপি কর্মীদের উল্লাসও ছিল চোখে প়ড়ার মতো। মুকুল বলেন, ''২০০৬ সালে একদিকে মানুষ মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে চলচ্চিত্র উত্সবে ঘণ্টা বাজিয়েছেন বুদ্ধদেব। ২০১৭ সালে বাংলায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হচ্ছে, তখন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল করছেন মমতা। উনি পাল্টে গিয়েছেন।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপর বাম জমানার কথা তুলে বর্তমান সরকারকে তুলোধনা করেন মুকুল। তাঁর কথায়, ''বাম জমানায় স্লোগান ছিল, কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত। তৃণমূল এসে বলে, কৃষি ও শিল্পের সম্পর্ক হাসি ও খুশির মতো। ৬ বছর পর হাসি মিলিয়ে গিয়েছে। খুশির দেখা নেই। পাতে দেওয়ার মতো শিল্পপতি আসেননি বাংলায়।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুকুল। জ্যোতি বসুর লন্ডন ভ্রমণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গরমের ছুটি কাটাতে লন্ডনে যেতেন জ্যোতি বসু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্যে সপার্ষদ বিদেশে যাচ্ছেন। এই কদিন আগে ঘুরে এলেন। আবার লন্ডনে যাচ্ছেন। অথচ একটা শিল্পপতিও আসেননি।''


শিক্ষা নিয়েও শাসকদলকে বিঁধেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়।  তাঁর কথায়, ''শিক্ষাক্ষেত্রে দলাদলি হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? কোনও কলেজে পড়ানোর অভিজ্ঞতা নেই তাঁর।' স্বাস্থ্য নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন মুকুল। বলেন, ''স্বাস্থ্য আরও খারাপ। তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানে ডাক্তার নেই, রোগীও নেই। ডেঙ্গি সামাল দিতে রাজ্য হিমশিম খাচ্ছে।'' 


তারপর মুকুলের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যুব বিশ্বকাপের স্পনসর ছিল বিশ্ববাংলা। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। বিশ্ববাংলা একটা কোম্পানি। তার মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকানা, ৪৭ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-র মালিকের নামও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি করেন মুকুল। তিনি বলেন, ''দল তৈরি করেছিলাম। সেই দলের লোগোটির মালিক অভিষেক।আমার ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে যত তৃণমূলের নেতা আছেন, তারা কেউ জানেই না এটা।'' 
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের দুর্গাপুজোয় চিটফান্ড কোম্পানিগুলির বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মুকুল বলেন,''নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের বিজ্ঞাপনে আইকোর, এমটিএস, প্রয়াগের নাম রয়েছে। কিন্তু বলা হচ্ছে, এরা কর্পোরেট পার্টনার। পুজোর সভাপতি কে? তত্কালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।''   


এরপরই মুকুলের হুঁশিয়ারি, এটা ফাস্ট পার্ট।  যেদিন এক লক্ষ লোকের সমাবেশ করব, সেদিন সেকেন্ড, থার্ড পার্ট প্রকাশ করব।  


আরও পড়ুন, এই প্রথম মমতার নাম করে তোপ দাগলেন বিজেপির মুকুল